চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনাল শেষে বার্সেলোনার বিদায় নিয়ে হতবাক প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) কোচ লুইস এনরিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ছয় গোল করেও ফাইনালে উঠতে না পারায় সাবেক বার্সা কোচ এই পরিণতিকে ‘অন্যায্য’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে একই সঙ্গে স্বীকার করেছেন, ফাইনালে সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়াই হতো তার কাছে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’।

৩১ মে মিউনিখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ফরাসি ক্লাব পিএসজি ও ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান। তবে সান সিরোতে বার্সেলোনার বিদায়ের ধরন ছিল রীতিমতো নাটকীয়। নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সেসকো অ্যাচারবির গোলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই দাভিদে ফ্রাত্তেসির নাটকীয় গোলে বার্সার স্বপ্নভঙ্গ হয়।

গত রাতে আর্সেনালকে হারানোর পর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল মুন্দো দেপোর্তিভোকে লুইস এনরিকে বলেন, আপনি কল্পনা করতে পারেন? বার্সেলোনা ছয় গোল করেছে সেমিফাইনালে, তবুও ফাইনালে উঠতে পারেনি! বেশিরভাগ মানুষ এটা বিশ্বাসই করবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, বার্সেলোনা নিঃসন্দেহে ফাইনালের যোগ্য ছিল। ফলটা ছিল খুব অদ্ভুত। তবে খোলাখুলিভাবে বলছি, ফাইনালে বার্সার মুখোমুখি হওয়া হতো আমার দুঃস্বপ্নের মতো।

এনরিকে বার্সেলোনায় খেলেছেন ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত। পরে এনরিকে বার্সার কোচ হয়ে ফিরেছেন ২০১৪ সালে। তার অধীনেই ২০১৪-১৫ মৌসুমে ট্রেবলসহ পাঁচটি ট্রফি জেতে বার্সা। এদিকে, গত রাতে আর্সেনালকে হারিয়ে পিএসজিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার দোরগোড়ায় নিয়ে এসেছেন এনরিকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসজ ফ ইন ল এনর ক

এছাড়াও পড়ুন:

৩ দিনে রজনীকান্তের সিনেমার আয় ৩৬২ কোটি টাকা

দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার রজনীকান্ত অভিনীত নতুন সিনেমা ‘কুলি’। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি ও বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। তামিল ভাষার এ সিনেমা পরিচালনা করেছেন লোকেশ কঙ্গরাজ। গত ১৪ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। 

মুক্তির আগেই আলোচনায় উঠে আসে রজনীকান্তের ‘কুলি’। দর্শকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে এটি। অগ্রিম টিকিট বুকিং নিয়েও কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছিল। বড় বাজেটের এ সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগেই ৬৬ শতাংশ খরচ তুলে ফেলেন নির্মাতারা। আর মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে এটি।  

বলি মুভি রিভিউজের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী ‘কুলি’ সিনেমায় আয় করে ১৫১.৯ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করে ৯৪ কোটি রুপি, তৃতীয় দিনে আয় করে ৬০ কোটি রুপি। যার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৩০৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৪ কোটি টাকা)।   

আরো পড়ুন:

রজনীকান্তের ‘কুলি’: এক পয়সাও পারিশ্রমিক নেননি আমির!

মুক্তির আগেই রজনীকান্তের সিনেমার আয় ৩৪৬ কোটি টাকা

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, তিন দিনে কুলি সিনেমা শুধু ভারতে আয় করেছে ১৫৮.৩৫ কোটি রুপি (গ্রস), বিদেশে আয় করেছে ১০৩.২৫ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২৬১.৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৬২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা)।      

পিঙ্কভিলার তথ্য অনুসারে, রজনীকান্তের ‘কুলি’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা)। মুক্তির আগেই আন্তর্জাতিক, ডিজিটাল, মিউজিক এবং স্যাটেলাইট স্বত্ব বিক্রি করে প্রায় ২৫০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি) আয় করেছে। সিনেমাটির আন্তর্জাতিক স্বত্ব ৬৮ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছে। লোকেশ কঙ্গরাজ পরিচালিত এই সিনেমা তামিল চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম চুক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।  

অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘কুলি’ সিনেমায় দেবা চরিত্রে অভিনয় করেছেন রজনীকান্ত। তার চরিত্রটি রহস্যেঘেরা। তাছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—উপেন্দ্র, শ্রুতি হাসান, সত্যরাজ, রচিতা রাম, কালি ভেঙ্কট, চার্লি প্রমুখ। সিনেমাটির আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন পূজা হেগড়ে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ