পারভেজ হত্যা মামলায় টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
Published: 9th, May 2025 GMT
ঢাকার বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসা নারী ফারিয়া হক টিনার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার ইন্সপেক্টর এ কে এম মঈন উদ্দিন পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ভাটারা থানার জগন্নাথপুর এলাকা থেকে টিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২ আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার প্রধান আসামি ও জবানবন্দি দেওয়া আসামিসহ মোট ৬ জন বর্তমানে কারাগারে আছে।
টিনার রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেপ্তার আসামি মাহাদী হাসান ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে আসামি টিনার নাম উল্লেখ করেছেন। তদন্তের স্বার্থে টিনাকে রিমান্ডে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে পুরী-সিংগারার দোকানে আড্ডা ও হাসাহাসি করছিল। বিকাল ৩টায় আসামি ১ থেকে ৩ নাম্বার আসামি তার কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাওয়ার উভয়ের মাঝে তর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রক্টর মীমাংসা করেন। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা ছুরি, চাকু, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করে। এতে পারভেজ মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘সর্বদলীয় কনভেনশন’ ডেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি এবি পার্টির
‘সর্বদলীয় কনভেনশন’ ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু)। তিনি বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সামাজিক, রাজনৈতিক, আইনি ও সাংবিধানিকভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন মজিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘গুম, খুন, গণহত্যা ও সীমাহীন লুটপাটসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ। তারা নির্বাচনব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করে জনগণের বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে বিদেশে যেতে সহায়তাকারী সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, সব নাগরিককে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে ইমিগ্রেশন পার হতে দেওয়া হয়। তাহলে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বেলায় শৈথিল্য কেন? তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে সামাজিকভাবে ‘বয়কট’ করেছে দাবি করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে প্রথমে বিএনপি ও জামায়াতের মতো বড় দলগুলো নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক চায়নি। দেশে পতিত স্বৈরাচার গুম, খুন ও ধর্ষণ করেছে। তবুও আমরা আওয়ামী প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না কেন?’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, নাসরিন সুলতানা মিলি, সানি আবদুল হক, আলতাফ হোসাইন, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহ আবদুর রহমান, সড়ক ও জনকল্যাণ সহসম্পাদক মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) শাহজাহান বেপারী, স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণবিষয়ক সহসম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন রমিজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, নারী উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, আমেনা বেগম, শিক্ষাবিষয়ক সহসম্পাদক ফয়সাল মনির, সহপ্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহদপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, যুবনেতা মাহমুদ আজাদ, রাশেদ, পল্টন থানার আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক আরিফ সুলতান রাফিউর রহমান ফাত্তাহ, মাহমুদুল হাসান আসিফ, সোলাইমান আল হাবিব, ফারহানুল ইসলাম ইফতি, সায়েমুল ইসলাম, জাওয়াদ হামিম, মাশরুর ইসলাম মাহিন, মেহরাজুল ইসলাম আদরসহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুব পার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।