ফর্টিসের ধাক্কায় কাঁপল সাদাকালো দেয়াল, কিন্তু ভাঙল না
Published: 9th, May 2025 GMT
প্রথমবারের মতো পেশাদার ফুটবল লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আজ হারতে বসেছিল ফর্টিস এফসির কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্রয়ে হার এড়াতে পেরেছে সাদাকালোরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসের পিয়াস আহমেদ নোভা ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ঝলক দেখান। বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে সাদাকালোর বিপদ বাড়িয়েছিলেন। তবে বদলি হিসেবে নামা মাহবুব আলম ৭৩ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক শটে গোল করে সমতা ফেরান এবং হার বাঁচান মোহামেডানের। সাদাকালোকে ১ পয়েন্ট এনে দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহবুব।
আরও পড়ুনমোহামেডানের কাছে ১৮ মিনিটে ৪ গোল খেয়ে উড়ে গেছে ফর্টিস ২৯ মার্চ ২০২৪১৮ ম্যাচের লিগে ১৪ ম্যাচ খেলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর চেয়ে এখন ৮ পয়েন্ট এগিয়ে মোহামেডান। তবে আবাহনী এক ম্যাচ কম খেলেছে। আগামীকাল ১৪তম রাউন্ডে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে আবাহনী জিতলে মোহামেডান এগিয়ে থাকবে ৫ পয়েন্ট।
মোহামেডান আজ সেরা ছন্দে ছিল না। রক্ষণ ভুল করেছে। আক্রমণভাগও সুবিধা করতে পারেনি। মোজাফফরভ দূরপাল্লার কয়েকটি শটে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গোল আসেনি। মোহামেডান নিজেদের বরং ভাগ্যবান ভাবতে পারে।
গোলের পর ফর্টিস এফসির ফুটবলাররা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফর ট স
এছাড়াও পড়ুন:
মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের রেল যোগাযোগ না থাকায় ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হয় না
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, মোংলা বন্দরের সঙ্গে নেপালের সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই। সে কারণে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে হলে নেপালের ব্যবসায়ীদের ব্যয় বেশি হয়। সে কারণে তারা আগ্রহী হয় না। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর ও আন্তঃদেশীয় রেলপথের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক করিডোর গড়ে উঠবে। এতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চললের অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে।
তিনি শুক্রবার রাতে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে ‘নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অন নেপাল-বাংলাদেশ কো-অপারেশন : ডায়নামিকস অব ট্রেড ট্যুরিজম অ্যান্ড কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই রয়েছে চমৎকার প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে।
তিনি জানান, গত বছর প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করেছেন। এ বছর প্রায় প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশি নেপাল ভ্রমণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নেপালের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে মেডিকেল পড়ে।
অনুষ্ঠানে খুলনার ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, মোংলা বন্দর ও রেলপথ ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি সম্ভব। তারা সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবপ্রসাদ পাল, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর আবির ইমতিয়াজ, খুলনা ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মোংলা বন্দরের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারক, ট্যুর ও ট্রাভেল অপারেটররা উপস্থিত ছিলেন।