প্রথমবারের মতো পেশাদার ফুটবল লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আজ হারতে বসেছিল ফর্টিস এফসির কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্রয়ে হার এড়াতে পেরেছে সাদাকালোরা।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিসের পিয়াস আহমেদ নোভা ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ঝলক দেখান। বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে সাদাকালোর বিপদ বাড়িয়েছিলেন। তবে বদলি হিসেবে নামা মাহবুব আলম ৭৩ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক শটে গোল করে সমতা ফেরান এবং হার বাঁচান মোহামেডানের। সাদাকালোকে ১ পয়েন্ট এনে দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহবুব।

আরও পড়ুনমোহামেডানের কাছে ১৮ মিনিটে ৪ গোল খেয়ে উড়ে গেছে ফর্টিস ২৯ মার্চ ২০২৪

১৮ ম্যাচের লিগে ১৪ ম্যাচ খেলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর চেয়ে এখন ৮ পয়েন্ট এগিয়ে মোহামেডান। তবে আবাহনী এক ম্যাচ কম খেলেছে। আগামীকাল ১৪তম রাউন্ডে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে আবাহনী জিতলে মোহামেডান এগিয়ে থাকবে ৫ পয়েন্ট।

মোহামেডান আজ সেরা ছন্দে ছিল না। রক্ষণ ভুল করেছে। আক্রমণভাগও সুবিধা করতে পারেনি। মোজাফফরভ দূরপাল্লার কয়েকটি শটে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গোল আসেনি। মোহামেডান নিজেদের বরং ভাগ্যবান ভাবতে পারে।

গোলের পর ফর্টিস এফসির ফুটবলাররা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফর ট স

এছাড়াও পড়ুন:

জোহরানকে নিয়ে এখন থেকেই কেন এতটা অসহিষ্ণু ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিউইয়র্ক নগরীর ডেমোক্র্যাটদলীয় মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি যদি নির্বাচিত হয়ে ‘যথাযথ আচরণ’ না করেন, তাহলে সেখানে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার তিনি এই হুমকি দেন।

ফক্স নিউজ উপস্থাপক মারিয়া বার্টিরোমোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি জোহরানের জেতার কথা ভাবতেই পারছেন না। কারণ, তাঁর চোখে তিনি একজন ‘খাঁটি কমিউনিস্ট’।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ধরুন তিনি (জোহরান) মেয়র হয়ে গেলেন, আমি তখন প্রেসিডেন্ট থাকব। তাঁকে যথাযথভাবে কাজ করতেই হবে, না হলে তারা (নিউইয়র্ক) কোনো অর্থ পাবে না। তাঁকে ঠিকমতো চলতেই হবে, না হলে তারা কোনো অর্থ পাবে না।’

নগরের হিসাবরক্ষক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ পেয়েছে নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বাম ঘরানার ডেমোক্র্যাট নেতা জোহরান জোরালোভাবে বলেছেন, তিনি কমিউনিস্ট নন।

গতকাল এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী এই তরুণ বলেন, ‘না, আমি কমিউনিস্ট নই।’

জোহরান আরও বলেন, তিনি ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন তাঁর চেহারা, বাচনভঙ্গি, তিনি কোথা থেকে এসেছেন, তাঁর পরিচয় কী—এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। কারণ, তিনি (জোহরান) যেসব বিষয়ের জন্য লড়ছেন, সেগুলো থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে চাইছেন ট্রাম্প।

জোহরানের অনুপ্রেরণা হলেন মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। যিনি বলেছিলেন, ‘আপনি একে গণতন্ত্র, ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিজম—যে নামেই ডাকেন না কেন, এই দেশে ঈশ্বরের সব সন্তানের জন্য সম্পদের সঠিক বণ্টন দরকার।’

গতকাল ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে ডেমোক্র্যাটদলীয় নিউইয়র্ক নগরের মেয়র প্রার্থী আবারও বলেন, তিনি নিউইয়র্কের শীর্ষ ধনীদের ওপর কর বাড়াতে চান। এটি তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ।

জোহরান বলেন, ‘আমার মনে হয় না সমাজে বিলিয়নিয়ার থাকা উচিত। সত্যি কথা বলতে, এখন সমাজে যেভাবে বৈষম্য বাড়ছে, সেখানে এত টাকা কারও হাতে থাকা ঠিক নয়। আমাদের দরকার নগরজুড়ে, অঙ্গরাজ্যজুড়ে, দেশজুড়ে আরও বেশি সমতা প্রতিষ্ঠা করা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ