শিশুর শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের দিকে নজর দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ধারালো স্মৃতিশক্তি শিশুর বিকাশের অন্যতম শর্ত। তবে বেশির ভাগ মা-বাবাই শিশুর স্মৃতিশক্তির ব্যাপারটা খেয়াল করেন সন্তান যখন স্কুলে যেতে শুরু করে, সে সময়। যদিও স্কুলের পড়া মনে না রাখার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে শিশুর অতিচঞ্চলতা, অমনোযোগিতা, শারীরিক অসুস্থতা, পরিবেশগত সমস্যা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান পদ্ধতিসহ অনেক কিছুর জন্যই।

শিশুর জন্মের পর প্রথম পাঁচ বছরেই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে নজর দেওয়া উচিত। এ সময় তার মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতাও বেশি থাকে। শিশুর স্মৃতিশক্তি ধারালো করতে বেশ কিছু কাজ অনুসরণ করা যায়, কিছু কাজ পরিহারও করা ভালো।

কী করতে পারেন

খেলার মাধ্যমে শেখানোর চেষ্টা করলে শিশুর মনে রাখতে সুবিধা হয়। এ ধরনের খেলা একা খেলা যায়, বন্ধুর সঙ্গে খেলা যায়, বাসায় সবার সঙ্গেও খেলা যায়। খেলতে খেলতে শেখার স্থায়িত্ব বেশি হয়। হতে পারে সেটা মেমোরি গেম, শব্দজট, শব্দ তৈরি কিংবা ধাঁধা।

শিশুর কল্পনাশক্তি বাড়াতে উৎসাহিত করা উচিত। এ ক্ষেত্রে শিশুকে কিছু বলার বা পড়ানোর পর বলতে হবে যে তুমি এটা মনে মনে দেখার চেষ্টা করো এবং কী দেখলে, তা বর্ণনা করো।

অন্যকে শেখানোর ব্যাপারেও শিশুকে উৎসাহিত করতে হবে। হয়তো তাকে একটা ফুল আঁকা শেখানো হয়েছে, এবার তাকে সুযোগ দিতে হবে কীভাবে এই ফুল আঁকতে হয়, সেটা বাড়ির কাউকে শেখাতে। এভাবেও তার একই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়, অন্যদিকে দক্ষতাও বাড়ে।

শিশুর সক্রিয় পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হাইলাইট করে রাখা যেতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুর মনোযোগ নষ্ট করে, তাই তার হাতে মুঠোফোন বা ট্যাব দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অভিনেতা থেকে প্রযোজক শরীফ

দেড় যুগের বেশি সময় মঞ্চে অভিনয় করে বড় পর্দায় নাম লেখান শরীফ সিরাজ। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর বুঝতে পারেন, এফডিসি ঘরানার সিনেমা নিয়ে অনেকেরই নাক সিঁটকানো ভাব, কেউ কেউ ছোট করেও দেখেন, এমনকি এফডিসির সিনেমা নিয়ে নেতিবাচক কথাও শুনতে হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি এফডিসির সিনেমায় না জড়িয়ে নাটক থেকে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এফডিসির কাজে অভিজ্ঞতা
এফডিসি ঘরানা বলে কাজটাকে কেন আলাদা করা হয়, দীর্ঘ সময় এটাই বুঝে উঠতে পারতেন না শরীফ। ‘পরে কাজ করে যতটুকু বুঝেছি, এফডিসি ঘরানার কাজগুলোর বেশির ভাগ কলাকুশলী এফডিসির থাকেন। আবার নাটক থেকে উঠে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে বেশির ভাগ কাজ করেন নাট্যাঙ্গনের শিল্পী–কলাকুশলীরা। ওটিটিতে আবার দুই ঘরানার মিশ্রণ। সব ধরনের টিমের সঙ্গেই কাজ করেছি। সবাই ভালো। বিশেষ করে বলব, এফডিসির আলাদা একটা জায়গা রয়েছে। এখানে পেশাগত জায়গাটা যেমন আলাদা, তেমনি পেশাদারিটাও বেশি। কীভাবে শিল্পীদের সম্মান করতে হয়, তারা সেটা বেশি জানে। এফডিসি নিয়ে আমার মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই। সবার সঙ্গে কাজ করেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য,’ বলেন শরীফ।

শরীফ সিরাজ। ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ