৬০ লাখ মে. টন গম আমদানি করতে হয়: উপদেষ্টা
Published: 10th, May 2025 GMT
দেশের চাহিদার ৬০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয় বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি জানান, বর্তমান দেশের জনগণ সকালের বেলায় ভাতের পরিবর্তে গমের আটার রুটি খাচ্ছে। কিন্তু দেশে মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়। আর বাকি ৬০ লাখ টন গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের রেস্ট হাউজে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং রাঙামাটি জেলার ১০ উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাঙামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ নিয়ে কিছু সংশয় ছিল। দেশে প্রায় ৩০ লাখ টন চালের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে খাদ্যে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে।
আরো পড়ুন:
কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবে না: মন্ত্রী
মজুতদারের যাবজ্জীবনের বিধান রেখে আইন হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরো জানান, দেশের উত্তর অঞ্চলের রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের কিছু অংশে ধানের ফসল খুব ভালো হয়েছে। তা থেকে আশা করা হচ্ছে, সামনে খাদ্যের সমস্যা হবে না। অন্তর্বর্তী সরকার খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহের সভাপতিত্বে অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সফি-উল আলম, রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান, রাঙামাটি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাপ্তাই খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন।
ঢাকা/শংকর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ দ যমন ত র উপদ ষ ট টন গম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু: প্রথমদিনে ২১৬ গবেষণা প্রবন্ধ উপস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের আয়োজনে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) শেষ হবে। ‘ইস্যুজ অ্যারাউন্ড পেডাগজি: টিচিং-লার্নিং স্ট্রাটেজিস ইন আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ ফর দ্য ২১ সেঞ্চুরি’ শীর্ষক এ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩টি দেশের ৪ শতাধিক গবেষক, স্কলার ও রিসোর্স পারসন অংশগ্রহণ করেছেন।
বুধবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবিতে ফিনটেক শিল্পের অগ্রগতি-বিষয়ক সম্মেলন
ডাকসু রোডম্যাপসহ ৭ দাবিতে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দীন খান।
মূল থিম উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার খ্যাতিমান দুই শিক্ষক ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. রোজনানী হাশিম (ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশন) এবং অধ্যাপক ড. রাদওয়ান জামাল ইউসুফ আল-আতরাশ (কুরআন ও সুন্নাহ বিভাগ)।
বুধবার নয়টি ভেন্যুতে ৩৬টি একাডেমিক সেশনে মোট ২১৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। প্রথম দিনের কী-নোট সেশনে জাপানের আকিতা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক ডগহার্টি, অধ্যাপক রোজনানী হাশিম ও অধ্যাপক জাসনি বিন সুলং (ইউনিভার্সিটি সায়েন্স মালয়েশিয়া) গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্লেনারি সেশনে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রোজনানী হাশিম। এতে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. গোপাল প্রসাদ পান্ডে, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) এর মহাপরিচালক ড. এম. আবদুল আজিজসহ আরও কয়েকজন আন্তর্জাতিক গবেষক বক্তব্য রাখেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাজুল ইসলাম বলেন, “এই সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রবন্ধগুলো শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যে প্রবন্ধগুলো উপস্থাপিত হয়েছে, সেগুলো এর আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি, যা আমাদের জন্য একটি ভালো অভিজ্ঞতা। এতে করে আমরা গবেষণা সম্পর্কিত নতুন ধারণা লাভ করেছি। এই সম্মেলন আমাদের শেখার জগতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং ভবিষ্যতে গবেষণার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করেছে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, “সম্মেলনের প্রথম দিনের প্রোগ্রাম অত্যন্ত সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ১২টি বিভাগে ৩৬টি সেশনে মোট নয়টি ভেন্যুতে ২১৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজ উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। ১৩টি দেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছেন প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক প্রতিনিধি। এছাড়া উপস্থাপন ও পঠন-পাঠনের নিয়ম-নীতি, সময়নিষ্ঠতা এবং আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত চমৎকার ও প্রশংসনীয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৫টায় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী