দেশের সুস্থ ধারার সংগীতচর্চায় উৎসাহ জোগাতে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আয়োজনের ১৯তম আসর বসছে ১৯ মে, রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। এই সংগীত পুরস্কার অনুষ্ঠানে এবার দেওয়া হবে ১৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার। আজীবন সম্মাননায় সম্মানিত হবেন নজরুলসংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে চ্যানেল আই স্টুডিওতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ, সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, দেশবন্ধু ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান এবং ঢাকা ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়হান কাউসার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবারের বিচারকমণ্ডলীর সদস্য সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, ফুয়াদ নাসের বাবু ও মেহরীন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ বলেন, ‘দেশের সুস্থ সংগীতচর্চাকে এগিয়ে নিতে এই অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের শুরু ২০০৪ সালে। প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা নিয়মিতভাবে এই উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছি। সংস্কৃতি বিকাশে পৃষ্ঠপোষকদের ভূমিকার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সংগীত আমাদের জীবনের আনন্দ, বেদনা, প্রতিবাদ, প্রেম—সব অনুভূতির সঙ্গে মিশে আছে। চ্যানেল আই সেই অনুভবকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই আয়োজন করে।’

সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা আজীবন সম্মাননা প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বীকৃতি আনন্দের, অনুপ্রেরণার। চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস যে দীর্ঘদিন ধরে সংগীতের মানুষদের সম্মান জানিয়ে আসছে, তার অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। এই সম্মাননা আমার কাজের গতি বাড়াবে বলেই বিশ্বাস করি।’

এবারের আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক রাজু আলীম জানান, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসকে আমরা সংগীতের মহোৎসব বলেই দেখি। এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে ফ্যাশন শো। অনুষ্ঠানটিকে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ ও স্মরণীয় করে তুলতে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় পরিকল্পনা করা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়: মামুনুল হক

ইসলামি জনতাকে বারবার বুলেটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়। ২০২১ সালে মোদিবিরোধী আন্দোলনের কারণে আলেমদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবে এ দেশে আপামর তৌহিদি জনতা, ছাত্রজনতা, কৃষক–শ্রমিক–মজুরদের হত্যা করে বাংলাদেশকে রক্তে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এ কথা বলেন।

আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে বলে দাবি করেন মামুনুল হক। তিনি জানান, বিগত সময়ে যারা ক্ষমতার মসনদে ছিল, তারা দেশের প্রতিনিধি নয়; বরং ভিনদেশি কৃতদাসী হিসেবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় নয়, ভিনদেশিদের স্বার্থ আদায় করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। দেশটাকে উজাড় করে সোনার বাংলাকে শ্মশান বানিয়ে মানুষের রক্ত ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে দেশটাকে গুমের রাজত্বে পরিণত করা হয়েছিল। বাংলাদেশটাকে মৃত্যুকূপে পরিণত করা হয়েছিল।

বিগত সরকারের আমলে ইসলামি নেতাদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিল অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, জেল–জুলুম–হুলিয়া চালানো হয়েছিল, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছিল। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় আলেমদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল—১৫টি বছর ছিল আলেম–ওলামা তথা ইসলামপন্থীদের রক্ত দেওয়ার, ত্যাগ ও কোরবানির সময়। সব জুলুম–নির্যাতনের পর চব্বিশের বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চব্বিশের এ বিপ্লবে যারা বুক চিতিয়ে জীবন দিয়েছিল, তাদের সিংহভাগ ছিল আলেমসমাজ। জীবন ও রক্তের বিনিময়ে বিদেশি আধিপত্যমুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে আবার বিদেশি পরাজিত শক্তি অন্য কারও মাথার ওপর ভর করে বাংলার মানুষকে যদি জিঞ্জিরাবদ্ধ করতে চায়, তা বরদাশত করা হবে না।

ঐক্যবদ্ধ জনগণ যাদের প্রতিহত করেছে, তারা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করছি, জীবন দিয়ে যেই ফ্যসিবাদ বিতাড়িত করেছি, সেই ফ্যাসিবাদ ভিন্নরূপে বাংলার ক্ষমতার মসনদে আসার পাঁয়তারা করলে আমরা রাজপথে লড়াই করে মোকাবিলা করব। নিজের বক্তব্যে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ ও জুলাই সনদের আইনিভিত্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীকের পাশাপাশি গণভোটে হ্যাঁ ব্যালটে সিল দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আবদুল লতিফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ সাঈদ নূর, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ হাদী, ফুলবাড়িয়া আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী মুফতি আবদুল কাদের, জামায়াত মনেনানীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসানসহ খেলাফত মজলিসের অন্য নেতারা।

একই দিন বিকেলে ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মামুনুল হক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২ কোটি রুপি বেতন কমতে পারে রোহিত–কোহলির, ২ কোটি রুপি বাড়তে পারে গিলের
  • সেমিনার: ১৫ বছরে গুম শিবিরের ২৫৫ জন, সাতজন ফেরেননি এখনো
  • ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নির্বিচার পাখির মতো গুলি করা হয়: মামুনুল হক
  • মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের টিকে থাকা নিয়ে নিরীক্ষকের শঙ্কা
  • দেশে মানবাধিকার কমিশন এখনো অকার্যকর
  • বেগম রোকেয়া: মৃত্যুর প্রায় এক শ বছর পরেও কেন প্রাসঙ্গিক
  • ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা ১১ ডিসেম্বর
  • যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা ইসরায়েলের
  • আমাদের কেউ ম্যান্ডেট দেয়নি, কত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে: সাখাওয়াত হোসেন
  • ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়