ইবির ভর্তি পরীক্ষা: ধর্মতত্ত্বে উপস্থিতি ৯০.৩২ শতাংশ
Published: 11th, May 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্বতন্ত্র ডি ইউনিটে (ধর্মত্বত্ত অনুষদ) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ২ হাজার ২৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৮২৮ পরীক্ষার্থী, যা মোট উপস্থিতির ৯০.৩২ শতাংশ।
রবিবার (১১ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে পরীক্ষা শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
ইবিতে আ.
মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি, ইবি কর্মকর্তা বরখাস্ত
জানা যায়,পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। ক্যাম্পাসে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় প্রক্টরিয়াল বডির পাশাপাশি তৎপর ছিল বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট গ্রুপ।
প্রশাসনের উদ্যোগে তথ্য ও স্বাস্থ্য কর্ণার থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। মেইন গেটের সামনে দুই পাশে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের হেল্প ডেস্ক।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “সবার সহযোগিতায় আজকের ভর্তি পরীক্ষা খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি চমৎকারভাবে কাজ করেছে। নিরাপত্তায় যারা ছিল, তারা ভালো কাজ করেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দর কষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ঠিক হবে: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ওয়ান টু ওয়ান নেসোসিয়েশনের মাধ্যমে এটা ঠিক হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ৯ জুলাই ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওখানে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। উনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই কমার্স টিম যাচ্ছে। ৮ তারিখে মিটিং। ওদের ৮ তারিখ মানে আগামীকাল বুধবার খুব ভোরবেলা। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘শুল্ক যেটা যেটা দিয়েছেন সেটা ঠিক অফিসিয়াল…। ইউএসটিআরের সঙ্গে আলাপ করবে উনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ম্যান্ডেটরি। এর আগের দিন কথা বলেছেন। কালকের পর আপনারা বুঝতে পারবেন।’
মিটিংয়ে কি কোনো উন্নতি হওয়ার আশা করা যায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করি। যাই হোক, সেটার প্রেক্ষিতে আমরা অন্যান্য পদক্ষেপগুলো নেব। এখন বৈঠকটা মোটামুটি পজেটিভ। ৬ তারিখ একটা মিটিং হয়েছে, মোটামুটি পজেটিভ আছে।’
চিঠি তো ইতোমধ্যে ইস্যু হয়ে গেছে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট দিয়েছে। এটা ওয়ান টু ওয়ান যখন নেগোসিয়েশনে ঠিক হবে। চিঠি তো বহু আগে দিয়ে দিতো, ৩৫ শতাংশ। এইটা আবার ১৪টা দেশের জন্য বলছে একই। কিন্তু ওয়ান টু ওয়ান নেগোসিয়েশন হবে, সে জন্যই তো ইউএসটিআরে সঙ্গে কথা বলা। এটা ফাইনাল না।’
ভিয়েতনাম চেষ্টা করে ২৬ শতাংশ কমিয়েছে, বাংলাদেশের কেন মাত্র ২ শতাংশ কমানো হলো। তার মানে কি নেগোসিয়েশন ভালো হয়নি? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘না না নেগোসিয়েশন….। এটা ঠিক যে আমাদের ডেফিসিট মাত্র পাঁচ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। ওখানে কিন্তু ওরা মোটামুটি কনসেশন দিতে পারে, মানে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমাদের এত কম ডেফিসিট। আমরা চেষ্টা করছি যে আমাদের এত কম ডেফিসিট, এত শুল্ক দেওয়ার তো জাসটিফিকেশন থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘ওরা যেটা করছে ব্ল্যাঙ্কেট কতোগুলো করেছে। চায়নার জন্য আলাদা। একেবারে চায়নার একটা সিঙ্গেল হ্যান্ডেলে ডিল করে ওরা। আর বাকিরা… এটা যেটা করেছে ১৪টা দেশের একই বলেছে। এখন আমরা নেগোশিয়েট করব।’
চিঠিতে যে সমস্ত কন্ডিশন দেওয়া হয়েছে এগুলো কি ফুলফিল করা সম্ভব? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন তো আমি কিছু বলতে পারব না।’
রাজস্ব আয় নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এইবার কালেকশন যা হয়েছে মোটামুটি, একেবারে বিরাট গ্যাপ না। আর আগামী বছর আমরা চেষ্টা করছি শুধু ট্যাক্স, ভ্যাট না দিয়ে সিস্টেমটা চেঞ্জ করলে দেখবেন কালেকশনটা অনেক বেশি হবে। লিকেজ হবে না, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতাত করে কিছু করতে পারবে না। আমাদের ট্যাক্স ক্যাপাসিটি ভালো, কিন্তু আমরা সেটা ইউটিলাইজ করতে পারিনি। সে কারণে রেভিনিউ কিছুটা শর্ট।’