সুন্দরবনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর রেখে যাওয়া ৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। 

সোমবার (১২ মে) সকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বলেন, থানায় হস্তান্তরকৃতদেরকে আজ সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়। 

এর আগে রবিবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে ৭৫জন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৭৮ জনকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩ জনকে শ্যামনগর থানায় রাখা হয়েছে। রাতেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে উপজেলা প্রশাসন।   

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো.

মশিউর রহমান বলেন, “৭৮ জনের বেশির ভাগই অসুস্থ। কয়েকজনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। তারা বিভিন্ন সময়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন।”

তিনি বলেন, “ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের এক সপ্তাহ আগে আটক করে। শুক্রবার ভোরে কয়েকটি স্পিডবোটে করে এনে সুন্দরবনের গহীনে মান্দারবাড়িয়া এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যায় বিএসএফ ও ভারতীয় নৌবাহিনী। পরে বন বিভাগের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। রবিবার কোস্টগার্ড তাদেরকে মোংলায় এনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে রাতে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে।”

ঢাকা/শাহীন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ য মনগর থ ন য়

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের চরে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ জন এখনো বন বিভাগের ক্যাম্পে

সাতক্ষীরার শ্যামনগর–সংলগ্ন পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) রেখে যাওয়া ৭৮ জন এখনো বন বিভাগের আশ্রয়ে আছেন। ঘটনার ৩৪ ঘণ্টা পর আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তাঁরা বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পেই অবস্থান করছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ভোরে বঙ্গোপসাগর–সংলগ্ন সুন্দরবনের গহিনে মান্দারবাড়িয়া এলাকার চরে কয়েকটি স্পিডবোট থেকে ৭৮ জনকে রেখে যায় বিএসএফ। সকাল ৯টার দিকে বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। বিষয়টি পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানানো হয়।

বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৭৮ জনকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে নিশ্চিত করা হলেও গতকাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়, তাঁরা বাংলাদেশি কি না, তা যাচাই করে দেখা হবে। আজ শনিবার বলা হয়, বিষয়টি বিজিবির বিশেষায়িত কোম্পানি ‘রিভারাইন বর্ডার গার্ড’ (আরবিজি) দেখছে। তারাই বিস্তারিত বলতে পারবে। বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে আরবিজি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, গতকাল সকাল নয়টার দিকে বন বিভাগের মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পের সদস্যরা ওই ৭৮ জনকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশি। বিষয়টি পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জানানো হয়। আজ সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তাঁরা মান্দারবাড়িয়া ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

সাতক্ষীরার নীলডুমুর ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাজিব মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আরজিবি দেখছে। তারা বিস্তারিত বলতে পারবে। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বঙ্গোপসাগরে কর্মরত ৮ আরবিজি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রউফের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। খুদে বার্তা দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

বন বিভাগের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে আরজিবি কর্মকর্তারা গেছেন। মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক না থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুনসুন্দরবনের চরে ৭৮ জনকে রেখে গেছে বিএসএফ, দিনাজপুর সীমান্তে ৯ জনকে হস্তান্তর০৯ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুজরাট থেকে উড়োজাহাজ-লঞ্চে করে চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, জানালেন ভুক্তভোগীরা
  • সুন্দরবনে ফেলে যাওয়া সবার শরীরে আঘাতের চিহ্ন
  • বিএসএফ রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
  • বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
  • বিএসএফের ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে নেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর থানায়
  • বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ জনকে কোস্টগার্ডে হস্তান্তর, কয়েকজনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন
  • সুন্দরবন দিয়ে ৭৮ জনকে ‌‌‌‌ঠেলে দিল বিএসএফ
  • সুন্দরবনের চরে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৮ জন এখনো বন বিভাগের ক্যাম্পে
  • ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ফেলে গেল বিএসএফ ও ভারতীয় কোস্টগার্ড