যমজ সন্তানের মা হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে সুখবরটি জানান তিনি নিজেই। নতুন সদস্যদের নাম দিয়েছেন অ্যাগনেস ও ওশান। তাদের আগমনে নিজের পরিবারকে ‘সম্পূর্ণ’ মনে করছেন বলে জানালেন এই অভিনেত্রী।

৩৯ বছর বয়সী হার্ড এর আগেও ২০২১ সালে কন্যা সন্তান উনাহ্‌-কে দত্তক নেন। তিনি এবার জানিয়েছেন, মা হওয়ার এই যাত্রা ছিল তার জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা।

মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে তিন জোড়া পায়ের একটি ছবি দিয়ে হার্ড লেখেন, “নিজের শর্তে মা হওয়া, তা-ও আবার বন্ধ্যাত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। আমি ভেবেচিন্তে ও দায়িত্বশীলভাবে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি। অমি অনেক খুশি। এই পরিবার গড়ার স্বপ্ন আমি বহু বছর ধরে লালন করেছি।”

হার্ড সব মায়েদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আপনারা আজ যেখানেই থাকুন না কেন এবং যে পথেই মাতৃত্বে পৌঁছান না কেন, আমি ও আমার স্বপ্নের পরিবার আপনাদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করছি।”

          View this post on Instagram                      

A post shared by Amber Heard (@amberheard)

এর আগেও, ২০২১ সালে যখন তিনি প্রথমবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে অভিনেতা জনি ডেপকে বিয়ে করেন এবং ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলেন এবং পরবর্তীতে দুজনই উচ্চ-প্রোফাইল মানহানি মামলায় জড়িয়ে পড়েন।

২০২০ সালে লন্ডনের একটি আদালতে ডেপ একটি মানহানি মামলা হেরে যান, যেখানে হার্ডের সাক্ষ্যে বলা হয়, তিনি ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’। এরপর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চলা আরেকটি বহুল প্রচারিত মামলায় হার্ডকে জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানি প্রমাণিত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে বলা হয়। তবে হার্ডও পাল্টা মামলায় আংশিক জয় পান এবং ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পান। সূত্র: বিবিসি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন বহাল

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবীকে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তী জামিন বহাল রয়েছে। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক রোববার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।

২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ফারাবী। এর ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা এদিন চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ। ফারাবীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহিনুর রহমান ও ওমর ফারুক।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, আদালত ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন। তার মানে হাইকোর্ট ফারাবীকে যে জামিন দিয়েছিলেন, তা বহাল। ফারাবী ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলায় চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেননি। ফারাবী প্ররোচনা দিয়েছেন—কোনো সাক্ষী তা বলেনি। এমনকি তাঁর সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়নি। ফারাবীর জামিনের পক্ষে এসব যুক্তি তুলে ধরা হয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

আরও পড়ুনব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন৩০ জুলাই ২০২৫

এই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে (শফিউর রহমান ফারাবী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন বহাল
  • চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ২০ বছরের কারাদণ্ড