যমজ সন্তানের খবর দিয়ে অ্যাম্বার হার্ড বললেন, ভেবেচিন্তে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি
Published: 12th, May 2025 GMT
যমজ সন্তানের মা হয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে সুখবরটি জানান তিনি নিজেই। নতুন সদস্যদের নাম দিয়েছেন অ্যাগনেস ও ওশান। তাদের আগমনে নিজের পরিবারকে ‘সম্পূর্ণ’ মনে করছেন বলে জানালেন এই অভিনেত্রী।
৩৯ বছর বয়সী হার্ড এর আগেও ২০২১ সালে কন্যা সন্তান উনাহ্-কে দত্তক নেন। তিনি এবার জানিয়েছেন, মা হওয়ার এই যাত্রা ছিল তার জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা।
মা দিবসে ইনস্টাগ্রামে তিন জোড়া পায়ের একটি ছবি দিয়ে হার্ড লেখেন, “নিজের শর্তে মা হওয়া, তা-ও আবার বন্ধ্যাত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। আমি ভেবেচিন্তে ও দায়িত্বশীলভাবে মাতৃত্ব বেছে নিয়েছি। অমি অনেক খুশি। এই পরিবার গড়ার স্বপ্ন আমি বহু বছর ধরে লালন করেছি।”
হার্ড সব মায়েদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “আপনারা আজ যেখানেই থাকুন না কেন এবং যে পথেই মাতৃত্বে পৌঁছান না কেন, আমি ও আমার স্বপ্নের পরিবার আপনাদের সঙ্গে উদ্যাপন করছি।”
View this post on InstagramA post shared by Amber Heard (@amberheard)
এর আগেও, ২০২১ সালে যখন তিনি প্রথমবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে অভিনেতা জনি ডেপকে বিয়ে করেন এবং ২০১৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের পর একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ তোলেন এবং পরবর্তীতে দুজনই উচ্চ-প্রোফাইল মানহানি মামলায় জড়িয়ে পড়েন।
২০২০ সালে লন্ডনের একটি আদালতে ডেপ একটি মানহানি মামলা হেরে যান, যেখানে হার্ডের সাক্ষ্যে বলা হয়, তিনি ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’। এরপর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চলা আরেকটি বহুল প্রচারিত মামলায় হার্ডকে জনি ডেপের বিরুদ্ধে মানহানি প্রমাণিত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে বলা হয়। তবে হার্ডও পাল্টা মামলায় আংশিক জয় পান এবং ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পান। সূত্র: বিবিসি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শি জিংপিংয়ের সঙ্গে প্রথমবার সাক্ষাৎ করলেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান
২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সাক্ষাৎ করেছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা সামরিক নেতার জন্য এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
শুক্রবার রাশিয়ার বিজয় দিবস উপলক্ষে মস্কো সফরের সময় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মিন অং হ্লাইং। সেসময় তিনি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর মানবিক সহায়তা পাঠানোয় চীনকে ধন্যবাদ জানান। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রের বরাতে ‘দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার’ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ইরাবতীর
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান চীনকে ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে দেশটির অবস্থানকে সমর্থন করার জন্য’ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং মিয়ানমারকে ‘জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলতে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি দেশটির সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। মিয়ানমারকে চীনা নাগরিক ও প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সীমান্ত অপরাধ দমনেও ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি।
সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করেন। এরপরই দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীকে প্রতিনিয়ত বহু জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি চীনঘনিষ্ঠ বলে ধারণা করা হয়।
মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তবে তিনি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স-এর হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এদিকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক স্বার্থে মিয়ানমারের সহিংসতা প্রভাব ফেলতে পারে বলে চীন উদ্বিগ্ন। তাই বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা সরকারের মধ্যস্থতায়ও ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন মিয়ানমারের বড় মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী হলেও, দেশটির সীমান্তবর্তী কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে। বিশেষ করে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী বেইজিং।
এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান হিসেবে রাজধানী নেপিদোতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিন অং হ্লাইং।