অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের
Published: 13th, May 2025 GMT
বগুড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় শাকিল আহমেদ (২২) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদরের কোমরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিল বগুড়া সদর উপজেলার উত্তর সাত শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক লালন হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাকিল মোটরসাইকেলযোগে বগুড়া শহর থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কোমরপুর এলাকার পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হত সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিবছর ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর হাতে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তির’ চেক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।
প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে বৃত্তির চেক নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের হাবীবা আক্তার, তেজগাঁও সরকারি কলেজের এস এম আবু তালেব ও ঢাকা কমার্স কলেজের খন্দকার মাহমুদুল হাসান।
এ বৃত্তির অধীনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হবে। এ বছর ৭২৫টি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পেয়েছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মোট শিক্ষার্থী ৩১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি, যা দেশে উচ্চশিক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭২ শতাংশ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ আছে ২ হাজার ২৫৭টি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৩২ জন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।
আজ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, ‘এক বছর আগে তরুণেরা দেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের ফলে আমরা, সমগ্র জাতি, অধিকারবঞ্চিত প্রজা থেকে নতুন করে অধিকারভোগী নাগরিকে পরিণত হতে পেরেছি।’
সি আর আবরার আরও বলেন, ‘আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে স্বৈরাচার আর কখনো এ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পালনের এ দিনে আমরা সেই জাতীয় প্রত্যাশাকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করি। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের শুধু একটি নতুন দেশ দিয়েছে তা নয়, নতুন স্বপ্নও দেখিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানউল্লাহ, সহ–উপাচার্য লুৎফর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ এ টি এম জাফরুল আযম উপস্থিত ছিলেন।