কক্সবাজারে পেটের ভেতরে লুকিয়ে ইয়াবা বড়ি পাচারের অভিযোগে তিন বোনকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। তাঁদের কাছ থেকে ২ হাজার ৯৫০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইমামের ডেইল এলাকার তল্লাশিচৌকিতে ওই তিন বোন গ্রেপ্তার হন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর হোসেনের তিন মেয়ে ইসমত আরা (২৭), সকিদা (২৪) ও সামিহা (১৮)। একটি বাসে করে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

উখিয়া ৬৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ইয়াবাসহ তিন বোনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে সন্দেহভাজন তিন নারীকে নামানো হয়। তাঁদের সঙ্গে কোনো মাদক আছে কি না, জানতে চাইলে তাঁরা উল্টো হয়রানি করার অভিযোগ তোলেন। পরে তাঁদের টেকনাফের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে এক্স-রে করানো হলে পেটে পলিথিনসদৃশ বস্তু শনাক্ত হয়। তখন বিষয়টি তাঁরা স্বীকার করে ইয়াবা বের করে দিতে রাজি হন। এরপর বিশেষ কায়দায় স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ১০টি প্যাকেটে ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়।

মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ওই নারীরা জানিয়েছেন ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মাদকের চালানটি কক্সবাজারে পাচার করছিলেন তাঁরা। রহিমা নামের এক রোহিঙ্গা নারী তাঁদের এসব ইয়াবা বড়ি দেন। মামলার পর গ্রেপ্তার তিনজনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বিজিবি কর্মকর্তা ও ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক টেকনিশিয়ান বলেন, প্রায়ই বিজিবি সন্দেহভাজন নারী-পুরুষকে নিয়ে আসে। তাঁদের এক্স-রে করালেই পেটের ভেতরে পলিথিনসদৃশ বস্তু দেখা যায়। পরে বিশেষ কায়দার এসব পোঁটলা বের করে আনা হয়। এই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। কয়েক বছর ধরে এই প্রবণতা বাড়ছে।

গ্রেপ্তার তিনজনের বরাত দিয়ে বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, পেটে ইয়াবা যেন গলে না যায়, সে জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে লম্বা করে কালো জামের মতো বানানো হয়। কলা বা জুসজাতীয় পানীয় দিয়ে এই প্যাকেট গিলে খান তাঁরা। তাঁদের মধ্যে দুজন বাহক তিনটি করে ও অপরজন চারটি পোঁটলা খেয়েছেন। পেটে ইয়াবা বহনে মৃত্যুঝুঁকি আছে, এটা বাহক জানেন। তবু মাদক কারবারিদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে তাঁরা এই কাজ করছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে গত কয়েক বছরে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় কয়েকজন মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে গ্রেপ্তার তিন নারীকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে ইসমত আরার একজন শিশুসন্তান ছিল। এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাসিক না হওয়ার কারণ

মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ

গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।

অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।

ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।

উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।

ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।

আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণ

নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।

কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক

দু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।

১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।

বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।

যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।

যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতা

একজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।

কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ