ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে যাননি বাদী ও ভুক্তভোগী তরুণী
Published: 13th, May 2025 GMT
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের পর প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছেন তৎকালীন শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জের বাসিন্দা হৃদয় পারভেজ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে তার সাক্ষ্য নেন বিচারক স্বপন কুমার দাস। তিনজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী তরুণী (বাদীর স্ত্রী) আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ১৯ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন জানান, সাক্ষী পারভেজ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
শাহপরান (রহ.
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি মামলার বিচার শুরু হয়। পরে ২০২৩ সালে বাদী মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। চলতি বছরের ১৭ মার্চ উচ্চ আদালত মামলার বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু করার আদেশ দেন।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলেও বাদী উচ্চ আদালতে যান। ফলে দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে মামলাটি। তৎকালীন রাষ্ট্রপক্ষও বিচারে গড়িমসি করে।
কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন– বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, জকিগঞ্জের আটগ্রামের অমলেন্দু লস্কর ওরফে কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির (গাছবাড়ী) সালিক আহমদের ছেলে মাহফুজুর রহমান মাসুম। তাদের মধ্যে চারজন শিক্ষার্থী হওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে ৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকা থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি নোহা স্কয়ার মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বাবিল হোয়াইকং গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে আত্মরক্ষায় পুলিশের মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ
প্রতিবেশীর ঘরের খাটের নিচে মিলল নিখোঁজ শিশুর লাশ
ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, ইয়াবার বড় চালান টেকনাফ থেকে ঢাকায় যাচ্ছে— এমন খবর পেয়ে পুলিশ গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া পাখির মোড় এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত ৩টার দিকে টেকনাফ থেকে ঢাকাগামী কালো রঙের নোহা স্কয়ার মাইক্রোবাস তল্লাশি করে ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মাদক কারবারি ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ঢাকা/রতন/বকুল