রাজনৈতিক দলের জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া উচিত না: শিবির সভাপতি
Published: 1st, July 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা উচিত হবে না। এটি সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় থাকবে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, রিসার্চ কনফারেন্স, আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠান, শহীদদের কবর জিয়ারত ও পরিবার-আহতদের সঙ্গে মতবিনিময়, শাখাভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল, আলোকচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, গ্রাফিতি অঙ্কন, সাহিত্য ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, পডকাস্ট, বিশেষ সাহিত্য প্রকাশনা, প্রকাশনা প্রদর্শনী ও অনলাইন ক্যাম্পেইন।
শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদদের নিয়ে যখন বিভিন্ন মহল দলীয়করণ ও ক্রেডিটের রাজনীতিতে লিপ্ত, তখন ছাত্রশিবির জুলাই স্পিরিট ধরে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই অনুযায়ী এখনো দেশ পরিচালিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, আজও সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে পতিত স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজনরা বসে রয়েছেন এবং পূর্বের মতোই দেশ পরিচালনা করছেন।
ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে একটি গোষ্ঠী নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্রসমাজ এসব ষড়যন্ত্র মানবে না উল্লেখ করে তিনি দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল ই অভ য ত থ ন ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।