গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‍দুটো ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা  ঘটে। এর প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল হাতিরপুল কার্যালয় থেকে কাঁচাবাজার হয়ে কাটাবন মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। 

গণসংহতি আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ককটেল বিস্ফোরণের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, সংক্ষিপ্ত মিছিলে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আজকে গণসংহতির কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে গণ-অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি ভয় দেখাতে চায়; কিন্তু জনগণের শক্তি এতে মোটেও শঙ্কিত নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করতে পতিত আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশকে আতঙ্কিত করতে এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আগামীকাল জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর এই সময় এ ধরণের হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। 

আবুল হাসান রুবেল আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষ বিচারের যে অগ্রগতি আকাঙ্ক্ষা করেছিল তা এখন পর্যন্ত আশানুরুপ না হয়নি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। সরকারের কাছে প্রত্যাশা, অবিলম্বে ককটেল বিস্ফোরণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। 

বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য আলীফ দেওয়ান, অপরাজিতা চন্দ, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আলামিন রহমান প্রমুখ। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামের পথে ‘বন্দর রক্ষার দাবিতে’ রোডমার্চ

জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চার দাবিতে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের ব্যানারে ঢাকা থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ ফেনীতে সমাবেশ শেষে চট্টগ্রাম রওনা হয়েছে। এর আগে শনিবার সকালে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার দুপুরে ‘বন্দর বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’, ‘চুক্তির নামে দেশ বিক্রি, চলবে না চলবে না’, ‘মা-মাটি-মোহনা বিদেশিদের দেব না’, ‘স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি, বাতিল কর, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন তারা।

এ সময় বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ নের্তৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত পথে হাঁটছে। দেশকে সাম্রাজ্যবাদের হাতে তুলে দেওয়া এই সরকারের দায়িত্ব হতে পারে না। অবিলম্বে বিদেশি শক্তির কাছে বন্দর ইজারা বা করিডর দেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

বক্তব্যে বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এলেও তারা এখন সেই আকাঙ্ক্ষার বিপরীত পথে হাঁটছে। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে একের পর এক চুক্তি করছে। জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এই আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধাচারণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে করিডোর দিতে ও বন্দর ইজারা দিতে চাইছে, যা দেশের জন্য বিপজ্জনক। চুক্তির নামে দেশবিরোধী কোনো চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না।

এর আগে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে দুই দিনের ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড মার্চ শুরু করেন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের ব্যানারে বামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রোডমার্চটি নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা অতিক্রম করে রাত সাড়ে এগারটার দিকে ফেনীতে এসে পৌঁছায়। ফেনী শহরের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে তারা দাউদপুল ব্রিজের পাশ থেকে পরিবহনে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। এতে প্রগতিশীল বাম গণতান্ত্রিক জোট ও দেশপ্রেমিক শক্তির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই বিশাল প্রকল্প কি বৃথাই যাবে
  • ৭ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসুচির উদ্বোধন
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ছাড়া কী করে সংস্কার হয়
  • ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব জনপ্রত্যাশা নিয়ে কতটা সজাগ
  • নিত্যখাদ্যপণ্যে ভ্যাট, করনীতি সংস্কার যেখানে জরুরি
  • ‘বন্দর ইজারা ও করিডোরের সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে নতুন কর্মসূচি’
  • যে বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়েছেন তাকে মূল্যায়ন করতে হবে: অধ্যাপক নার্গিস বেগম
  • মব সন্ত্রাস জনগণের আন্দোলনের অর্জনকে ক্ষুণ্ন করছে: জোনায়েদ সাকি
  • ফেনীতে সমাবেশ শেষে চট্টগ্রামের পথে ‘বন্দর রক্ষার দাবিতে’ রোডমার্চ