রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণ চেয়ে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। তারা ভাস্কর্য অপসারণে জেলা পরিষদকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় আগামী শুক্রবার জুমার পর তারাই এটি ভেঙে ফেলবেন।

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। তারা জেলা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাফি। সংহতি বক্তব্য দেন মো.

ইরফানুল হক, সর্বজিত চাকমা, মো. ইমাম হোসেন, মো. হারুন ইবনে আব্দুল খালেদ, মো. তানিম ইবনে ইয়ম, সায়েদা খাতুন, মো. ওয়াহিদুজ্জামান রোমন, মো. জুনায়েদুল ইসলাম. মো রাকিব উদ্দীন, মো আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

এর আগে শহরের বনরূপা পেট্রোল পাম্প থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশ শেষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দেন বিক্ষোভকারীরা। চেয়ারম্যান এ দাবি পূরণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মসূচি সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ স কর য

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ষায় কেন হয় সংস্কার কাজ

বর্ষায় সংস্কার

বর্ষা আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান ঋতু। অথচ এই মৌসুমেই নানা স্থানে রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এতে যেমন কাজের মান ব্যাহত হয়, তেমনি জনদুর্ভোগও চরমে পৌঁছায়। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট কাদা, জলাবদ্ধতা ও যানজট সাধারণ মানুষের চলাচলকে অত্যন্ত কষ্টকর করে তোলে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। অন্যদিকে কর্মজীবী মানুষকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়, যা তাঁদের কাজের দক্ষতাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

প্রশ্ন হলো, এ ধরনের সংস্কারকাজ কি বর্ষা শুরুর আগেই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়? পরিকল্পিত সময়সূচি মেনে কাজ সম্পন্ন করলে যেমন জনদুর্ভোগ কমবে, তেমনি কাজের গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে। সবার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি দেওয়া জরুরি।

মো. সজল হোসাইন

ছাত্র, মিরপুর-১০, ঢাকা

লোডশেডিং

সম্প্রতি ফরিদপুরে বিদ্যুৎ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিন কিংবা রাত কোনো সময়ই ঠিকভাবে বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এতে দৈনন্দিন কাজ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি অর্থনীতির গতিও থমকে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ ছাড়া কলকারখানায় উৎপাদন সম্ভব হয় নয়, কৃষক খেতে সেচ দিতে পারেন না। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতেও সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রত্যাশা, সরকার ফরিদপুরের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

মো. ইয়ামিন খান, ফরিদপুর

সম্পর্কিত নিবন্ধ