রাঙামাটিতে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
Published: 13th, May 2025 GMT
রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণ চেয়ে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা। তারা ভাস্কর্য অপসারণে জেলা পরিষদকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় আগামী শুক্রবার জুমার পর তারাই এটি ভেঙে ফেলবেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। তারা জেলা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাফি। সংহতি বক্তব্য দেন মো.
এর আগে শহরের বনরূপা পেট্রোল পাম্প থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশ শেষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দেন বিক্ষোভকারীরা। চেয়ারম্যান এ দাবি পূরণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মসূচি সমাপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ স কর য
এছাড়াও পড়ুন:
এলপিজি গ্যাস ছেড়ে বিক্ষোভ, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন শত শত শ্রমিক
গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টের এলপিজি গ্যাস ছেড়ে শ্রমিক বিক্ষোভ! কাঁধে সিলিন্ডার তুলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক সিলিন্ডার গ্যাস। গ্যাসের ধোঁয়ায় ঢেকেছে গ্যাস বটলিং প্ল্যান্ট। ঢেকেছে আশপাশের এলাকা। প্রয়োজন শুধু একটু আগুনের ফুলকি! ভয়ংকর!
ভয়ংকর বললেও কম বলা হবে এই ঘটনাকে। শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভে এভাবেই প্রাণহানির সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল শত শত মানুষের। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অদূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজের আইওসি বটলিং প্ল্যান্টের।
প্ল্যান্টের গাড়ির খালাসি ও চালকরা গত শনিবার থেকে দুই চালককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও লোডিং-আনলোডিংয়ে বকেয়া টাকা পরিশোধ-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন ও ধর্মঘট করছিলেন। চালকদের ধর্মঘটের জেরে প্ল্যান্ট থেকে গাড়ি না বেরোনোয় অসুবিধায় পড়ছিলেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় প্ল্যান্টের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ইউনিয়নের এক প্রতিনিধি দল ওই চালক এবং খালাসিদের সঙ্গে আলোচনা করে ধর্মঘট তুলে নিতে বলে। কিন্তু তাতে চালক ও খালাসিরা রাজি না হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়।
আরো পড়ুন:
হাসিতে মিলিয়ে গেল বাঘের আতঙ্ক
তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৬
অভিযোগ ওই হাতাহাতি চলাকালীন একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ছেড়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কাঁধে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের সিলিন্ডার নিয়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকরা এলপিজি ছেড়ে দিচ্ছেন। যার জেরে মুহূর্তেই গ্যাসের ধোঁয়ায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা প্ল্যান্ট ও সংলগ্ন এলাকা। আর এমন পরিস্থিতিতে সামান্য আগুনের সংস্পর্শে ঘটতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা। মুহূর্তে ঘটতে পারত বড়সড় গ্যাস বোমা বিস্ফোরণ। শ্রমিকদের উচ্ছৃঙ্খল বিক্ষোভে মুহূর্তে প্রাণ হারাতে পারত শতাধিক শ্রমিক।
এদিন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে বজবজ থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহেশতলা থানা থেকেও পরে পুলিশ বাহিনী আসে। নামানো হয় র্যাফও। এলাকা এখনও থমথমে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ