পর্তুগালের হয়ে ছেলের অভিষেকে ‘গর্বিত’ রোনালদো
Published: 13th, May 2025 GMT
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পর্তুগালের হয়ে ২১৯ বার মাঠে নেমেছেন। ২০০৩ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর করেছেন ১৩৬ গোল। তিনিই এখন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করা ফুটবলার। সেই রোনালদো আজ নতুন করে গর্বিত এই পর্তুগালের জার্সিকে ঘিরে—ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের গায়েও যে উঠেছে দেশের জার্সি। পর্তুগাল অনূর্ধ্ব–১৫ দলের হয়ে ক্রোয়েশিয়ায় ব্লাকদো মার্কোভিচ টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছে রোনালদো জুনিয়র। প্রথম ম্যাচে জাপানকে ৪–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তার দল।
এই ম্যাচে অবশ্য শুরুর একাদশে সুযোগ মেলেনি আল নাসের তারকার ছেলের। আন্তর্জাতিক ফুটবলের যাত্রাটা সে শুরু করে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে। এই ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন রোনালদোর মা দোলোরেস আভেইরো। ছেলের খেলা দেখতে নিয়মিত মাঠে যাওয়া দোলোরেস নাতির অভিষেক দেখার আগেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন, ‘শুভকামনা পর্তুগাল।’ এরপর মাঠে বসে দেখেছেন ম্যাচও।
ম্যাচ শেষে দাদির কাছ থেকে অভিনন্দন পেলেন ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল জীবনঘনিষ্ঠ কবি: শিক্ষা উপদেষ্টা
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দুজনই জীবনঘনিষ্ঠ কবি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। তিনি বলেন, “জীবনঘনিষ্ঠ বলেই তারা মানুষের কল্যাণ ও মনুষ্যত্বের বিকাশের কথা বলেছেন।”
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দৈশিক এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল পাঠ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “মধ্যযুগের কবি বলেছেন, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ নজরুলের কণ্ঠেও শুনেছি, ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান’, রবীন্দ্রনাথ বঙ্গজননীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ‘মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে’।”
আরো পড়ুন:
রবিতে রবীন্দ্র জন্মোৎসবের উদ্বোধন
ঢাবিতে বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
সি আর আবরার বলেন, “বর্তমানে আমরা দৈশিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখবেন, মানুষ হিসেবে আমাদের যে কর্তব্য, তা পালনে আমরা উদাসীন, নিস্ত্রিয় ও ব্যর্থ। একজনের প্রতি অন্যজনের মানবিক সহানুভূতি, সহমর্মিতা আজ বিলুপ্ত প্রায়। নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে অপরকে নির্যাতিত ও নিপীড়িত করতে আমরা কুণ্ঠা বোধ করি না, দ্বিধান্বিত হই না। বিশ্বের চারিদিকে আজ রণ-দামামা বেজে উঠেছে। এর ফলে লাঞ্ছিত হচ্ছে মানুষ, বিপণ্ন হচ্ছে মানবতা।”
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এই ভয়াবহ পৃথিবীতে জীবনের জয়গান গাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। এ কারণে এই দুই কবি আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। তাদের রচনার মানবিক আবেদনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তাদের পাঠ-অধ্যায়ন আমাদের জন্য আবশ্যিক।”
বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মোরশেদ শফিউল হাসান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক রকুদরত-এ-হুদা।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ