বিটরুট কারা খাবেন, কারা এড়িয়ে চলবেন
Published: 14th, May 2025 GMT
নানা ভিটামিন, খনিজ আর অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর হওয়ায় বিটরুটকে কেউ কেউ একপ্রকার সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বিটরুট খাচ্ছেন অনেকে। তরকারি ও সালাদের পাশাপাশি বিটরুটের জুসও খাচ্ছেন অনেকে। বিটরুটের গুঁড়া কিনে গুলিয়ে খাওয়ার চলও বেড়েছে। কিন্তু শরীরে পুষ্টির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য না রেখে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়াও ভালো নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, বিটরুটের যত উপকারিতা এবং অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে।
উপকারিতারক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বিটরুট। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি উপযোগী খাবার। তবে খেতে হবে পরিমিত। বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে, যা শরীরের রক্তনালি বা দেহকোষগুলোকে শিথিল করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
খেলাধুলার করেন, এমন ব্যক্তিদের শক্তি বৃদ্ধি করে বিটরুট। নিয়মিত বিটরুট খেলে শরীরে অক্সিজেনের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, মাংসপেশি সবল হয়।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় বিটরুট খুব সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।
বিটরুটের যে আকর্ষণীয় রং, তার পেছনে আছে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, সেটা হচ্ছে বেতালিন। এটি আমাদের শরীরে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে বিভিন্ন জটিল হৃদ্রোগ, ক্যানসার ইত্যাদির ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে বিটরুট।
ফাইবারের অন্যতম উৎস বিটরুট ওজন নিয়ন্ত্রণেও বিশেষভাবে কার্যকর। শরীরে বিভিন্ন ডিটক্সিফাইং এনজাইম তৈরি করে যকৃৎকে ডিটক্সিফাই করে।
আরও পড়ুনপ্রতিদিন বিটরুট খেলে পাবেন ৬টি অবিশ্বাস্য উপকার৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪কারা খাবেন নাবিটরুট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম