জানেন হয়তো, প্লেনের পাইলট ও কো–পাইলটের খাবারের পদ হয় আলাদা। প্রশ্ন হলো, একই প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং একই প্লেন চালালেও তাঁদের কেন একই খাবার খেতে দেওয়া হয় না? উত্তর জানতে হলে একটু পেছন ফিরে তাকাতে হবে।
১৯৮২ সালের আগস্ট। পর্তুগালের লিসবন শহর থেকে একটি প্লেন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন শহরের উদ্দেশে রওনা হয়। আকাশে ওড়ার কিছু সময় পরই ঝামেলার সূত্রপাত। প্লেনটির ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সদস্যই অসুস্থ হতে শুরু করেন। ধারণা করা হয়, নষ্ট ট্যাপিওকা পুডিং খাওয়ার পরই পেটব্যথা ও পেশিতে টান লাগে তাঁদের। প্রতিবেদন অনুসারে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই এ ঘটনা ঘটেছিল। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন, এই মিষ্টান্ন না খাওয়ায় কো-পাইলট ছিলেন সুস্থ। তাই প্লেনটির যাত্রীরা বড় কোনো বিপদে পড়েননি।
এ রকম ঘটনা হরহামেশা ঘটে না। তাই বলে সাবধানতায় ফাঁকফোকর রাখা চলে না। ওই ঘটনার পর থেকে অনেক এয়ারলাইনস কোম্পানি প্লেনের ক্রুদের খাবারের ব্যাপারে খুব সতর্ক হতে শুরু করে।

সুরক্ষিত রাখতেই আলাদা খাবার থাকে পাইলট ও কো–পাইলটের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইলট

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগার থেকে হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ইমরান

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে (ইমরান আহমদ) সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হয়।

আরো পড়ুন:

স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত মেঘলার মৃত্যু, ২ শিশু আশঙ্কাজনক

গাজীপুরে সংঘর্ষে আহত ৪, কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন

একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো। হাসপাতালের কেবিনে নেওয়ার পর তার সঙ্গে কয়েকজন দেখা করেছেন এবং তিনি তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। 

এ বিষয়ে জানতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও উপ-পরিচালকের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন বলেন, ‍“সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ বর্তমানে হাসপাতালের তৃতীয় তলার একটি কেবিনে আছেন। তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”  

গত বছরের ২১ অক্টোবর রাতে ঢাকার বনানী থেকে সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় ইমরান আহমদকে। ওইদিন তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। এরপর থেকে তিনি সিলেট কারাগারে ছিলেন।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ