ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় তারা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

কর্মসূচিতে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল মিঠু বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই দেশে কোন সন্ত্রাসী সংগঠন থাকবে না। কোন হত্যাকারীর ঠাঁই হবে না, আমরা ছাত্রদল সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে বর্জ্রকন্ঠে রাজপথে থাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে একজন ছাত্রের মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য একটি অশনিসংকেত।” 

তিনি আরো বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা, আমার ভাই সাম্য হত্যার খুনিদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তারসহ বিচার করতে হবে, ঢাবি ভিসি এবং প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আমরা রাবি শাখা ছাত্রদল কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।”

শাখা ছাত্রদলের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “যারা দিল্লির দাসত্ব করে এবং পিন্ডির দাসত্ব করে তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাংলাদেশপন্থীদের হত্যা করছে। ২১, ৭১ এবং ২৪ প্রত্যেকটি বাংলাদেশের ভিত্তি। এই তিনটি বিষয়ে মিমাংসা না করা, বাংলাদেশের বিরোধী শক্তিদের বিচার না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো রকম সুযোগ দিবে না ছাত্রদল।”

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা সাম্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ বিষয়টাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করার পাঁয়তারা করছেন।” 

ঢাকা/ফাহমিদুর/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় মাসে নিহত ২৭৭৮: সেভ দ্য রোড

গত ছয় মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ২ হাজার ৭৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৬ জন। শুক্রবার গবেষণা সংস্থা সেভ দ্য রোড তাদের এ জরিপ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১৭ হাজার ৯৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে ২ হাজার ৭৭৮ জন নিহত এবং ১৭ হাজার ৮২৬ জন আহত হন। নৌপথে ৬১৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হন ১৪ এবং আহত ৪৫১ জন। রেলপথে ৫২৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ এবং আহত ১৮৪ জন। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিতসহ থ্রি হুইলার ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনায় ৭৯৫ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৬৭৩, বাস দুর্ঘটনায় ৮২৫ এবং ট্রাক-পিকআপ-লরি দুর্ঘটনায় ৪৮৫ জনের মৃত্যু হয়।

সংস্থাটি জানায়, প্রতি ৩ কিলোমিটারে পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন না করা ও হাইওয়ে পুলিশসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়কপথে ৬ মাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ১১৮টি। ডাকাতদের হামলায় ১০৪ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে নারী শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে ৬১৪টি, ধর্ষণের ঘটনা দুটি।

সেভ দ্য রোডের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো– মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করা; ফুটপাত দখলমুক্ত করা; সড়কপথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেসবিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতীত চালক-সহযোগী নিয়োগ ও হেলপার দ্বারা পরিবহন চালানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ; স্থল-নৌ-রেল ও আকাশপথে দুর্ঘটনায় সরকারিভাবে নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দান; ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ গঠন করা; সব পরিবহনের চালকের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা এবং ইউলুপ বৃদ্ধি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ