শিশু রোজা মনি হত্যার তদন্ত ও বিচার দাবি ড্যাবের
Published: 15th, May 2025 GMT
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শিশু রোজা মনি (৫) হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। একইসঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের ডা.
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে সকালে রাজধানীর ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশু রোজা মনি। তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি এবং এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। পরেরদিন সকালে রাজধানীর বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার স্তূপে একটি বস্তায় শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর বস্তার ভেতরে মেলে রোজা মনির মরদেহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে মর্গ থেকে সিএনজি অটোরিকশায় লাশ নিয়ে তেজকুনি পাড়ায় ফেরেন শিশুটির দুলাভাই মোবারক হোসেন ও স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক। ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, দেশ আজ যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র চাই। প্রতিটি মৃত্যুর জন্য সরকারের দায় আছে। আমরা একটি মানবিক স্বাস্থ্যনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাই, যেখানে চিকিৎসার অধিকার ও নিশ্চয়তা পাব।
ঢাকা দক্ষিণ ড্যাবের সভাপতি ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, শিশু রোজা মনির অকাল মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তার লাশ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে সিএনজিতে করে নেওয়ায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা রোজা মনি খুনের ঘটনায় দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে রোজার পরিবারকে সরকারিভাবে অনুদান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ শ হত য তদন ত সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জয়পুরহাটে গভীর নলকূপের লাইনম্যানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
জয়পুরহাটে গভীর নলকূপের এক লাইনম্যানের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ক্ষেতলাল উপজেলার বরাইল ইউনিয়নের কলিঙ্গা গ্রামের একটি ফসলি জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবু সাইদ (৬৫) ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই গভীর নলকূপের লাইনম্যান ও পাহারাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ বলছে, নিহতের হাত-পা বাঁধা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
চিরকুট: ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’
কুমিল্লায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে আবু সাইদ নলকূপ পাহারা দেওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। তবে, শুক্রবার সকালে তিনি বাড়িতে ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করে না পেয়ে নলকূপের ঘরে গিয়ে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/আব্দুল্লাহ/রাজীব