রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শিশু রোজা মনি (৫) হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। একইসঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ড্যাবের ডা.

নিয়াজ শহীদ রানা, ডা. আমিরুল ইসলাম পাভেল, ডা. মো. সাইদুর রহমান, ডা. ফারহান তানভীর, ডা. কায়সার ইয়ামিন ইশাত, ডা. গালিব হাসান, ডা. এএসএম রাকিবুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মে সকালে রাজধানীর ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশু রোজা মনি। তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি এবং এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। পরেরদিন সকালে রাজধানীর বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের নিচে ময়লার স্তূপে একটি বস্তায় শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর বস্তার ভেতরে মেলে রোজা মনির মরদেহ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। ওইদিন বিকেল পাঁচটার দিকে মর্গ থেকে সিএনজি অটোরিকশায় লাশ নিয়ে তেজকুনি পাড়ায় ফেরেন শিশুটির দুলাভাই মোবারক হোসেন ও স্বজনরা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অমানবিক। ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, দেশ আজ যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র চাই। প্রতিটি মৃত্যুর জন্য সরকারের দায় আছে। আমরা একটি মানবিক স্বাস্থ্যনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাই, যেখানে চিকিৎসার অধিকার ও নিশ্চয়তা পাব।

ঢাকা দক্ষিণ ড্যাবের সভাপতি ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, শিশু রোজা মনির অকাল মৃত্যুতে শোক জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তার লাশ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিবর্তে সিএনজিতে করে নেওয়ায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা রোজা মনি খুনের ঘটনায় দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে রোজার পরিবারকে সরকারিভাবে অনুদান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ শ হত য তদন ত সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউটিউবে ভিডিও নির্মাতাদের আয় ও ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা

ইউটিউব এখন বিনোদনের অন্যতম উৎস। আর তাই শখের বসে বা অনলাইনে আয়ের জন্য অনেকেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করেন। তবে ভিডিওর মান ভালো হলেও ভিউ ও লাইকসংখ্যা কম থাকলে আয়ের পরিমাণ কমে যায় ভিডিওগুলোর নির্মাতাদের। আর তাই নিজেদের তৈরি ভিডিওর ভিউ ও লাইকের সংখ্যা বাড়াতে নানা ধরনের চেষ্টা করেন নির্মাতারা। কিন্তু এবার ইউটিউবের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সার্চ ফলাফলের কারণে নির্মাতাদের আয় ও ভিডিওর ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইউটিউব সার্চে এআই সার্চ ফলাফল চালুর ফলে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন নির্মাতাদের ভিডিওতে থাকা তথ্যের সারাংশসহ ভিডিওর থাম্বনেইল দেখা যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ভিডিওর থাম্বনেইলে ট্যাপ করলেই তা সরাসরি চালু হয়ে যায়। এর ফলে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা ভিডিও না দেখেই সেখানে থাকা তথ্য সরাসরি জানতে পারায় সার্চ ফলাফলে থাকা সব ভিডিওতে ক্লিক করতে হয় না। এতে ইউটিউবে ভিডিও নির্মাতাদের আয় ও ভিউ কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুনইউটিউব চ্যানেল জনপ্রিয় করার ৭ কৌশল১৪ জানুয়ারি ২০২৩

নতুন এই সুবিধা প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য চালু করা হয়েছে। সুবিধাটি চালুর মাধ্যমে গুগল তাদের সার্চ ও কনটেন্ট ডিসকভারি ব্যবস্থায় জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার আরও শক্তিশালী করল। গুগল সার্চে ‘এআই ওভারভিউ’ যেভাবে প্রচলিত লিংকের আগে সারাংশ দেখায়, ইউটিউবেও এখন ঠিক তেমনভাবেই সার্চ ফলাফলের শীর্ষে দেখানো হবে এআই সারাংশ। এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে ইউটিউব, ইতিমধ্যে প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা এটি পছন্দ করছেন। শিক্ষামূলক ভিডিওর ক্ষেত্রে তারা বাড়তি তথ্য পাচ্ছেন, সুপারিশ পাচ্ছেন, এমনকি ভিডিও দেখে নিজেরাই নিজেদের জ্ঞান যাচাই করছেন।

আরও পড়ুনইউটিউব ভিডিও নির্মাতাদের জন্য সুখবর০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, নতুন এই সুবিধা ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক হলেও ভিডিও নির্মাতাদের জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ইউটিউব ভিডিওর সারাংশ সার্চ ফলাফলে দেখা যাওয়ায় অনেক ব্যবহারকারী পুরো ভিডিও না দেখেই প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। এতে ভিডিওর ভিউ কমে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যেতে পারে মন্তব্য, লাইক বা চ্যানেলের নতুন নিবন্ধনকারীর সংখ্যা। এর প্রভাব পড়তে পারে আয়েও।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ