ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিমানবাহিনী প্রধান
Published: 16th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ইতালি সফর শেষে আজ শুক্রবার দেশে ফিরেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতালি বিমানবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল গোরেট্টির আমন্ত্রণে ৮ মে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান অ্যারোস্পেস পাওয়ার কনফারেন্সে (এএসপিসি-২০২৫) অংশ নেন। ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিমানবাহিনী প্রধান ইতালির সামরিক সরঞ্জামাদি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘লিওনার্দো এসপিএ’ এর আমন্ত্রণে লিওনার্দো ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শন করেন।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবাহিনী প্রধানের এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, যা পেশাগত খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিধি সম্প্রসারিত করবে। বিমানবাহিনী প্রধান ইতালির উদ্দেশে ৭ মে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন: আইএসপিআর
একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এর আগে এই জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যগুলো জানানো হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন–সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে, যেখানে অভিযোগকারী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী। এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আগে একটি চাঞ্চল্যকর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। তিনি বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উল্লিখিত অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগেই এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবগত হয়। যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তবে অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা ও ঘটনার সংবেদনশীলতা বিবেচনায় যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করে সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। এর আগে অভিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সেনাবাহিনী থেকে কোনো সদস্য বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লিখিত সাবেক সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতিবিবর্জিত কার্যক্রমকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী তার সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে। অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।