উৎকণ্ঠা ও সংশয়ের কঠিন সময় কাটাতে হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানাকে। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাদেরকে। পরে অবশ্য সুস্থমতো দেশে ফিরতে পেরেছেন তারা। 

এর পর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন রিশাদ ও রানা। এবার বিমানবন্দরে পড়লেন ঝামেলায়। ভিসা-সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে গত দুই দিন দুবাই বিমানবন্দরে কাটাতে হয়েছে তাদেরকে। 

বাংলাদেশ জাতীয় দল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। রিশাদ ও রানা বাদে বাকি সব ক্রিকেটার, কোচিং এবং সাপোর্টিং স্টাফ বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারলেও ইমিগ্রেশন বিভাগ আটকে রেখেছিলেন তাদেরকে। 

টানা দুদিন বিমানবন্দরে কাটানোর পর গতকাল রাত ২টার পর তাদেরকে দুবাই প্রবেশের অনুমতি দেয় সংশ্লিষ্টরা। এর পর দলের সঙ্গে যোগ দেন তারা। আজ তারা খেলার জন্য অ্যাভেইলেভেল তা নিশ্চিত করেছেন বিসিবির পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু। 

তবে, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কেন তাদেরকে আটকে রাখা হয়েছিল, তার সদুত্তর দিতে পারেননি ইফতেখার আহমেদ মিঠু। তিনি বলেছেন, “আমরা আসলে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কেন তাদের আটকে রাখা হয়েছিল। আমরা ধারণা করছি, পাকিস্তান থেকে ওরা ফিরেছিল। ওদের কেবল ট্রানজিট ভিসা ছিল। এন্ট্রি-এক্সিট জটিলতা হয়ত তৈরি হয়েছিল। এতটুকুই বলতে পারি। গতকাল রাতেই তারা দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আজ খেলার জন্য অ্যাভেইলেভেল আছেন।”

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দুই দিন দুবাইয়ে অনুশীলন করেছে। আজ রাত ৯টায় প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে শারজাহতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। রিশাদ ও রানা কোনো অনুশীলন ছাড়া ম্যাচ খেলতে নামবেন কি না, সেটা বিরাট প্রশ্ন। 

ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হয় ছ ল ত দ রক

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন মির্জা ফখরুল

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাকে দুই সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাংককের রুটনিন আই হসপিটালের চিকিৎসকরা।

শনিবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার পরবর্তী অবস্থা ভালো। এখন তিনি সুস্থ আছেন। আল্লাহর মেহেরবানি এবং সবার দোয়ায় তিনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, দুই সপ্তাহ ফ্লাই করা যাবে না। সে জন্য তার দেশে ফিরতে দেরি হচ্ছে। যখনই চিকিৎসকরা অনুমতি দেবেন, অর্থাৎ প্লেনে আসার মতো অবস্থা যখন হবে তখনই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। কারণ চোখের অপারেশনের পর কোনো কোনো সময় প্রেশার কমবেশি হয়। অর্থাৎ প্লেনের ভেতরে অনেক সময় প্রেশার বেড়ে যায় অথবা কমে যায়। তখন চোখের ভেতরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। সেটাকে পরিহার করার জন্যই তাঁকে দুই সপ্তাহ ফ্লাই না করার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন।

হাসপাতালে মির্জা ফখরুলের পাশে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ কয়েকজন স্বজন আছেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে মির্জা ফখরুলের চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।

গত ১৪ মে রুটনিন আই হসপিটালে বিএনপি মহাসচিবের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়। এর আগের দিন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ব্যাংকক যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ