‘জারভো ৬৯’–কে মনে আছে?

সেই যে যখন–তখন হুটহাট খেলার মাঠে ঢুকে পড়েন। অদ্ভুত কাণ্ড–কীর্তি করে বেড়ান। ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবি থেকে অলিম্পিক মঞ্চ—কোন জায়গায় দেখা যায়নি তাঁকে! মাঠের ভেতর থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন—এমন দৃশ্য তো অনেকেরই দেখা।

এবার সেই জারভোকে ফুটবল মাঠে নিষিদ্ধ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্টের পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ জারভোর অভিযোগ, ইংল্যান্ডে মানবাধিকার বলে কিছু নেই।

‘জারভো ৬৯’ নামে পরিচিত হলেও তাঁর মূল নাম ড্যানিয়েল জারভিস। মূল পরিচিতি ইউটিউব প্রাঙ্ক স্টার হিসেবে। ভিডিওমাধ্যমটিতে তাঁর অনুসারী দুই লাখের বেশি। গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড–আয়ারল্যান্ড ফুটবল ম্যাচে ম্যাচপূর্ব লাইনআপে ঢুকে যাওয়া, তারও আগে ইংল্যান্ড–ভারত ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে ঢুকে বোলিং করা, বিবিসি ম্যাচ অব দ্য ডে অনুষ্ঠানে প্রাপ্তবয়স্ককেন্দ্রিক শব্দ বাজিয়ে দেওয়া.

.. এমন অনেক অদ্ভুত কাণ্ডই তিনি ঘটিয়েছেন।

ইংল্যান্ডের আইনে মাঠে ঢুকে পড়া ফৌজদারি অপরাধ নয়। যে কারণে জারভোকে মাঠ থেকে বের  করে দেওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না পুলিশের। কেন্ট অনলাইন জানিয়েছে, সম্প্রতি সেখানকার পুলিশ আদালতের কাছে জারভোকে ফুটবল মাঠে নিষিদ্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেছে। এ নিয়েই মঙ্গলবার মেডওয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির হন জারভো।

পরে সেখান থেকে বেরিয়ে ৩৭ বছর বয়সী এই ইউটিউবার কেন্ট অনলাইনকে বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা (পুলিশ) মনগড়া কথা বলছে। এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। কেউ কোনো অপরাধ করলে আগে গ্রেপ্তার হতো, তারপর আদালতে যেতে হতো। এই দেশ থেকে মানবাধিকার উধাও হয়ে গেছে। ব্যাপারটা এখন তামাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

পুলিশের তাঁর প্রতি ‘বিদ্বেষ’ আছে দাবি করে খেলার মাঠে নিজের অদ্ভুত কাণ্ড–কীর্তির পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন জারভো, ‘আমি সত্যিই কোনো ভুল কাজ করছি না, আমি শুধু লোকেদের হাসাচ্ছি। কিছু লোক বলে আমার আরও পরিণত হওয়া উচিত। তবে আমি বেশির ভাগ লোককে হাসাই। মানুষকে খুশি করতে আমার ভালো লাগে।’

অবশ্য প্রথম দিকে প্রাঙ্ক করতে যতটা উত্তেজনা অনুভব করতেন, এখন ততটা করেন না বলেও জানিয়েছেন জারভো।

মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার পর ডিস্ট্রিক্ট জজ রবার্ট ব্রাউন জারভোকে জিজ্ঞেস করেন, এটি দেওয়ানি বিষয়। তিনি পুলিশের আবেদনের বিষয়টি নিয়ে লড়াই করতে চান কি না? জারভো এতে সম্মতি জানালে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

তত দিন পর্যন্ত খেলাধুলার ইভেন্টে ঝঞ্ঝাট তৈরি না করার শর্তে তাঁকে জামিন দিয়েছেন আদালত। একই সময় পর্যন্ত ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচে তাঁর প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাজ্যের বাইরে সব জায়গার জন্য প্রযোজ্য।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড ডাকছে এই ব্রাজিলিয়ানকে

১৯৯৭ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। সেবার ঘানাকে হারিয়ে ছোটদের এই বিশ্বকাপ প্রথম জিতেছিল ব্রাজিল। কার্লোস সিজার রামোসের সেই দলে ছিলেন রোনালদিনিও, জিওভান্নি, ফাবিও সান্তোস, ফাবিও পিন্তোরা। শুধু রোনালদিনিও-ই এই দল থেকে পরে বড় মাপের তারকা হয়েছেন। অন্যরা সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি—কথাটি ঠিক আবার ভুলও!

আরও পড়ুনইন্টারের বিদায়ের পর মার্তিনেজের কড়া বার্তা, লড়তে না চাইলে চলে যাও১৯ ঘণ্টা আগে

ব্রাজিলের সেই অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন এখনো খেলে যাচ্ছেন। বয়স তাঁকে ৪৪ বছরে নিয়ে এসে দাঁড় করালেও গ্লাভসজোড়া তুলে রাখার যেন কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই। বরং তারকা না হয়েও এ বয়সে তাঁর ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যান দেখলে কুঁড়ি-পঁচিশের ফুটবলাররাও চমকে যেতে পারেন। ২০২২ সাল থেকে ফ্লুমিনেন্সের হয়ে এ পর্যন্ত ২২২ ম্যাচ তিনি খেলেছেন! আগের তিনটি মৌসুমের একেকটিতে ৬০টির বেশি ম্যাচ খেলেছেন। এ মৌসুমে সংখ্যাটা একটু কমে এখন পর্যন্ত ৩৫।

নাম তাঁর ফাবিও দেভিসন লোপেজ মাসিয়েল। ব্রাজিলিয়ান লিগ কিংবা ক্লাব বিশ্বকাপে চোখ রাখলে শুধু ‘ফাবিও’ নামে তাঁকে চিনতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ফাবিও। যদিও ফ্লুমিনেন্স–সমর্থকেরা তাঁর এ পরিচয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। ফাবিও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির গোলকিপার, সেটাও যেনতেন গোলকিপার নন; এই তো মাত্র পাঁচ দিন আগে গ্রুপ পর্বে পাচুকার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে দারুণ এক রেকর্ড গড়েন ফাবিও। ইতালিয়ান কিংবদন্তি জিয়ানলুইজি বুফনকে পেছনে ফেলে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে (৫০৭) ক্লিনশিট রাখার রেকর্ড গড়েন।

৪৪ বছর বয়সেও পোস্টের নিচের নিয়মিত দেখা যায় ফাবিওকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ