বিশ্ব মিডিয়া প্রযুক্তিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির অংশ হিসেবে, চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) নেতৃত্বে পরিচালিত একটি নতুন আন্তর্জাতিক মান শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। যা ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভিডিও ও অডিও সম্প্রচার আরো সহজ ও কার্যকর করবে।

নতুন মানটির নাম আইটিইউ-আর-বিটি ২৫৫০। এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিভাবে সম্প্রচারকারীরা ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চমানের কনটেন্ট উৎপাদন ও শেয়ার করতে পারে। মানটি অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা, যা জাতিসংঘের অধীন বৈশ্বিক যোগাযোগ মান নির্ধারণকারী সংস্থা।

এটি সিএমজি-এর তৈরি ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মান, যা টেলিভিশন ও অনলাইন ভিডিও কিভাবে তৈরি, শেয়ার ও সর্বোচ্চ মানে উপস্থাপন করা হবে, তা নির্ধারণ করে।

এই নতুন মানের ধারণাটি প্রথম উত্থাপন করা হয় ২০২৪ সালের শুরুতে। এটি ৫জি ব্যবহার করে বড় অনুষ্ঠান সম্প্রচারে চীনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এবং দেখায় কিভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আরো দ্রুত ও সহজে টিভি ও অনলাইন কনটেন্ট তৈরি করা যায়।

উন্নয়নের সময় ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা তাদের নিজস্ব ৫জি সম্প্রচার প্রকল্পের উদাহরণ যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। যৌথভাবে উন্নয়নের পর, এই বছরের শুরুতে মানটি অনুমোদিত হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা নতুন মানটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি ৫জি-র গতি ও নির্ভরযোগ্যতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারে সম্প্রচারকারীদের সহায়তা করবে।

এছাড়া, ক্লাউড-সেবাভিত্তিক মিডিয়া প্রোডাকশন ও উন্নত ভিডিও-কালার বিষয়ক আরো দুটি প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক মান পর্যালোচনাধীন রয়েছে এবং শিগগিরই অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই অর্জনগুলো প্রমাণ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আল্ট্রা এইচডি ভিডিওর মতো নতুন প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব মিডিয়া প্রেক্ষাপটে মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চীন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ