৫জি সম্প্রচারের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণের নেতৃত্বে সিএমজি
Published: 17th, May 2025 GMT
বিশ্ব মিডিয়া প্রযুক্তিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির অংশ হিসেবে, চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) নেতৃত্বে পরিচালিত একটি নতুন আন্তর্জাতিক মান শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে। যা ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভিডিও ও অডিও সম্প্রচার আরো সহজ ও কার্যকর করবে।
নতুন মানটির নাম আইটিইউ-আর-বিটি ২৫৫০। এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিভাবে সম্প্রচারকারীরা ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চমানের কনটেন্ট উৎপাদন ও শেয়ার করতে পারে। মানটি অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা, যা জাতিসংঘের অধীন বৈশ্বিক যোগাযোগ মান নির্ধারণকারী সংস্থা।
এটি সিএমজি-এর তৈরি ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মান, যা টেলিভিশন ও অনলাইন ভিডিও কিভাবে তৈরি, শেয়ার ও সর্বোচ্চ মানে উপস্থাপন করা হবে, তা নির্ধারণ করে।
এই নতুন মানের ধারণাটি প্রথম উত্থাপন করা হয় ২০২৪ সালের শুরুতে। এটি ৫জি ব্যবহার করে বড় অনুষ্ঠান সম্প্রচারে চীনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে এবং দেখায় কিভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আরো দ্রুত ও সহজে টিভি ও অনলাইন কনটেন্ট তৈরি করা যায়।
উন্নয়নের সময় ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞরা তাদের নিজস্ব ৫জি সম্প্রচার প্রকল্পের উদাহরণ যুক্ত করার প্রস্তাব দেন। যৌথভাবে উন্নয়নের পর, এই বছরের শুরুতে মানটি অনুমোদিত হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা নতুন মানটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি ৫জি-র গতি ও নির্ভরযোগ্যতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারে সম্প্রচারকারীদের সহায়তা করবে।
এছাড়া, ক্লাউড-সেবাভিত্তিক মিডিয়া প্রোডাকশন ও উন্নত ভিডিও-কালার বিষয়ক আরো দুটি প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক মান পর্যালোচনাধীন রয়েছে এবং শিগগিরই অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অর্জনগুলো প্রমাণ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আল্ট্রা এইচডি ভিডিওর মতো নতুন প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব মিডিয়া প্রেক্ষাপটে মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চীন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধু ভুলিনি তোমায়, ভুলতেও পারবো না: হানিফ সংকেত
প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। চলচ্চিত্র বা অ্যালবাম নয়, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তেও নিয়মিত পাওয়া যেত এন্ড্রু কিশোরের দরাজ গলার গান। কাজের সূত্রে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক-পরিকল্পক-পরিচালক হানিফ সংকেত ছিলেন তার বন্ধু। আজ এন্ড্রু কিশোর পঞ্চম প্রয়াণ দিবস।
আজ এই প্রয়াণ দিবসে বন্ধুকে ভোলেননি হানিফ সংকেত। এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করেছেন স্মৃতিচারণ।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আজ বন্ধু এন্ড্রু কিশোরের পঞ্চম প্রয়াণ দিবস। যার কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ, গানই ছিলো প্রাণ। এই গানের জন্যই মানুষ তাঁকে ভালোবাসতো, দিয়েছিল ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ উপাধি।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে। একসঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, এক সঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিল ইত্যাদির প্রায় নিয়মিত শিল্পী।’
সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ ছিলো কিশোর। গানের মাধ্যমেই এন্ড্রু কিশোর বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু ভুলিনি তোমায়-ভুলব না-ভুলতে পারবো না। ভালো থেকো, শান্তিতে থেকো।
ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর। প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া এই শিল্পী ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।