বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের দোগাড়িয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল। তার খামারে দুই বছর ধরে বেশ যত্নে লালন-পালন করছেন একটি গরু। নাম ‘বগুড়ার ডন’। নামটি দিয়েছে তার ছোট ছেলে। মালিকের ভাষ্য, গরুটির ওজন প্রায় ১১শ’ কেজি। বিশালাকৃতির পশুটি যে কারও দৃষ্টি কাড়বে।

রবিউল গরুটির দাম হেঁকেছেন ১৫ লাখ টাকা। ক্রেতা সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা বলেছেন। জেলায় প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর হাটে এমন চোখ ধাঁধানো গরুর দেখা মিলছে। তবে আলোচনায় রয়েছে ‘বগুড়ার ডন’। শাহীওয়াল ক্রস জাতের গরুটি শুধু ওজনে বা আকারেই বড় নয়, স্বভাবেও শান্তশিষ্ট।

প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় এবার সাত লাখ ৪৬ হাজার পশু কোরবারিন জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর খামারের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জেলায় গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ পালনের খামার ছিল ৪৮ হাজার। এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজারে। একই সঙ্গে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এবার সাড়ে সাত লাখ পশু প্রস্তুত আছে।

তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম শিমুল জানিয়েছেন, গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে মোটাতাজাকরণ ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি। প্রাকৃতিক খাবার—খড়, ধানের গুড়া, ভুষি, ভাত ও পানি খাইয়েছেন। প্রতিদিন গরুটির খাবারের পেছনে খরচ হয় ১২শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা। শান্ত স্বভাবের কারণে গরুটিকে লালন-পালন করাও ছিল সহজ। তার ভাষ্য, ব্যবসার পণ্য মনে করে নয়, নিজের সন্তানের মতো আদরে বড় করেছেন প্রাণিটি।

শিমুলের খামারে আরও ১৪টি দেশি ও শাহীওয়াল জাতের বড় গরু রয়েছে। প্রতিটির জন্যই রয়েছে আলাদা যত্ন ও পরিচর্যার ব্যবস্থা। তবে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে ডন। এ খামারির ভাষ্য, তিনি দুই বছর আগে রাজশাহী থেকে আড়াই লাখ টাকায় গরুটি কেনেন। তখন থেকেই প্রাকৃতিক খাবারে বড় করার পরিকল্পনা করেন, যাতে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়। এখন তাকে দেখে সবাই মুগ্ধ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ড.

মো. আনিছুর রহমান বলেন, গত বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য পশু ছিল ৭ লাখ ৩৪ হাজার। এ বছর বেড়ে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি হয়েছে। জেলার চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৯ হাজারের। চাহিদার চেয়ে কম সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। গত বছর জেলায় কোরবানি দেওয়া হয়েছিল সাড়ে ৪ লাখ পশু।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গর গত বছর ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাকৃবিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ৭.৭১ শতাংশ বাজেট বৃদ্ধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন হয়েছে। এ বছরের বাজেট গত বছরের তুলনায় ৭.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৪৫৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকার একটি প্রস্তাবিত বাজেট প্রণয়ন করেছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার সিলিং নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সে অনুযায়ী বাজেট পুনর্গঠন করে সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

খুবিতে নবীনদের বরণে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন

নকল সরবরাহের সময় ছাত্রদলের সভাপতি গ্রেপ্তার

মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় কোষাধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মূল বাজেট উপস্থাপন করেন।”

তিনি বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেটে ইউজিসির বরাদ্দ থেকে ৩৭৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের উৎস থেকে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় হিসেবে ধরা হয়েছে।”

এ বাজেটে বেতন-ভাতা ও বিশেষ সুবিধা বাবদ ১৮৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, সাধারণ পণ্য ও সেবা খাতে ৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, মেরামত ও সংরক্ষণ বাবদ ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ ১১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, গবেষণার জন্য ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৭৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য ও মূলধন অনুদানসহ বিভিন্ন খাতে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

এছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী ৩৭৯ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাজেট আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এ লক্ষ্যে পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বরাদ্দ পুনর্বিন্যাসের অনুরোধ জানানো হয়।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ