বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ব্র্যাক, লিখতে হবে ২৫০ শব্দের অনুচ্ছেদ
Published: 18th, May 2025 GMT
এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ব্র্যাক। আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে, আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত বিবেচিত হতে হবে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীর পারিবারিক মাসিক আয় ২০ হাজার টাকার কম হতে হবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তা পাবেন। ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির ‘মেধাবিকাশ উদ্যোগ-২’–এর মাধ্যমে এ সহায়তা দেওয়া হবে। মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার করে বৃত্তি পাবেন।
ব্র্যাকের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া সহজ নয়। এ সাফল্যের জন্য তোমাদের সারা বছর মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে হয়েছে। পরীক্ষায় ভালো করার পর দেশের সেরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছ। তোমার এগিয়ে যাওয়ার পথে এখন কি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? মেধাবিকাশ উদ্যোগ-২ দিচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তির সুযোগ, যেন অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা থেমে না যায়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পাবে এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তা।’
শিক্ষার্থী নির্বাচনের মানদণ্ডে বলা হয়েছে
ক.
খ. শিক্ষার্থীর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে।
গ. শিক্ষার্থীদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে হবে।
ঘ. ব্র্যাকের যেকোনো কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত দরিদ্র সদস্যদের সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ঙ. শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্র্যাক গ্র্যাজুয়েট, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং উন্নয়নের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের শর্ত শিথিলযোগ্য।
আরও পড়ুনইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের ওয়াইপিপি প্রোগ্রাম, আরবি অথবা ফরাসি ভাষায় দক্ষতায় বাড়তি সুযোগ০৩ মে ২০২৫বৃত্তির পরিমাণ
নির্বাচিত মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এককালীন ১৫ হাজার ও মাসিক সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এককালীন ১০ হাজার ও মাসিক ৭ হাজার টাকা বৃত্তি পাবেন।
আবেদনপ্রক্রিয়া
আপনি কেন নিজেকে বৃত্তিটি পাওয়ার যোগ্য মনে করেন, এ বিষয়ে ২৫০ শব্দের একটি অনুচ্ছেদ লিখুন। এটি আবেদনপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুনমদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়নের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ১৭ মে ২০২৫আবেদনের নিয়মাবলি
ক. আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আবেদনের সঙ্গে এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভর্তির সময় জমাকৃত অর্থের রসিদের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
খ. আবেদনকারীর জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, এসএসসি ও এইচএসসির ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল, অভিভাবকের পেশা, আয়কর সনদ, আয়ের সনদ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২১ জুন ২০২৫
আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ পর ক ষ য় একক ল ন র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের মরদেহ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিচ্ছেন দুই শিক্ষার্থী
শোকে বিহ্বল স্বজনরা মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে দুই শিক্ষার্থী। হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিন এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায়। উপজেলার হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার এবং সানস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষার্থী লাবনী আক্তারের মা মারা গেছেন।
লাবনীর মায়ের জানাজা সকাল সাড়ে ১১টায় নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সায়মার মায়ের জানাজা পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পর বাদ যোহর অনুষ্ঠিত হবে।
মা হারানো সায়মা আক্তার সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এবং লাবনী আক্তার সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ কেন্দ্রে থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অশ্রুসিক্ত চোখে কেন্দ্রে আসেন তারা। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা।
পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার হতিয়া গ্রামের মো. রায়হান মিয়ার মেয়ে সায়মা আক্তার। সায়মার মা শিল্পী আক্তার (৪০) কিডনি জনিত সমস্যার কারণে ২ জুলাই দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতেই মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে।
অপরদিকে উপজেলার কচুয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার। তার মা সফিরন (৪৫) গতরাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা যান। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলের মা ছিলেন।
দুই বাড়িতেই চলছে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি। মায়ের মৃত্যুর পর সায়মা আক্তার ও লাবনী আক্তার ভেঙে পড়লেও স্বজনদের কথায় এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসেন।
হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রহিজ উদ্দিন বলেন, সায়মা মেধাবী শিক্ষার্থী। তবে মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে আসা সত্যি কষ্টদায়ক। আল্লাহ যেন তার সহায় হোন।