ফতুল্লায় ইমারত আইন লংঘন করে নির্মাণাধীন সাতটি ভবনে অভিযান চালিয়ে নকশা বহির্ভূত স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে রাজধানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। একই সাথে ভবনগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুতের মিটার জব্দ সহ একটি ভবনের মালিককে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমানের নেতৃত্বে রবিবার (১৮ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত 
ফতুল্লার ইসদাইর, মাসদাইর ও জামতলা মসজিদ রোড এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। 

এসময় রাজউকের অনুমোদিত নকশাবিহীন ও নকশার ব্যত্তয় ঘটিয়ে নির্মাণ কাজ করায় কয়েকটি বহুতল ভবন সহ সাতটি নির্মাণাধীন ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। একই সাথে ভবনগুলোর নকশা বহির্ভুত বর্ধিত স্থাপনা ভেঙ্গে অপসারণ সহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার জব্দ করে রাজউক কর্তৃপক্ষ। 

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমান বলেন, "আজকে আমরা তিনটি এলাকায় সাতটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন রয়েছে। ভবনগুলোর নির্মাণ কাজে রাজউকের নকশা ছাড়া ও নকশার ব্যত্তয় ঘটানো সহ বেশ কিছু অনিয়ম আমাদের কাছে ধরা পড়েছে। তাই আমরা আপাতত ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। 

এছাড়া নকশা বহির্ভুত স্থাপনা অপসারণ সহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বিদ্যুতের মিটার জব্দ করেছি। একটি ভবন মালিককে পঞ্চাশ হাজার টাকাও জরিমানা করেছি"। 

 অনুমোদন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণাধীন সব ভবনের বিরুদ্ধে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শান্তা রহমান। 

আইন শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় পরিচালিত এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন রাজউকের জোন-৮/১ এর পদ শূন্যকালীন প্রতিকল্প অথরাইজড অফিসার এফ.

আর. আশিক আহমেদ, সহকারী অথরাইজড অফিসারঃ আবু সাদাত মোঃ সায়েম, প্রধান ইমারত পরিদর্শনক মোঃ রাসেল ইসলাম এবং ইমারত পরিদর্শকঃ মো: রুবেল হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ভবনগ ল র র জউক র ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ