Samakal:
2025-09-18@10:17:22 GMT

ভাগাড়ের গন্ধে টেকা দায়

Published: 18th, May 2025 GMT

ভাগাড়ের গন্ধে টেকা দায়

কালিয়াকৈরে একটি আঞ্চলিক সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলছেন স্থানীয় লোকজন। জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে আশপাশের কয়েকটি কারখানার কর্মীরা অতিষ্ঠ। পথচারীদেরও চলাচল করতে হয় নাক চেপে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভাগাড়টি সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে কয়েক দফা পৌরসভাকে তাগদা দেওয়া হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। 
শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, চন্দ্রা ত্রিমোড়ের পূর্ব পাশে সিপি গেট থেকে একটি সরু সড়ক জোড়া পাম্প ফুটবল খেলার মাঠ পর্যন্ত গেছে। ওই সড়কের দু’পাশেই ময়লার বিশাল বিশাল স্তূপ। স্থানীয় বাসিন্দা নাজমা সারোয়ার এদিন দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। নাকে কাপড় চেপে ওই জায়গাটি পার হচ্ছিলেন তারা। নাজমা বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়কের পাশে ময়লা ফেলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আশপাশে যারা আমরা বসবাস করি, তারা দুর্গন্ধের কারণে টিকতে পারছি না। আমাদের সন্তানরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এখন পাশের গজারি বাগানেও ময়লা ফেলছে। বাসাবাড়িতে ২৪ ঘণ্টাই দুর্গন্ধ থেকে। অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।’
জোড়া পাম্প উত্তরপাড়ার মাহমুদুল আলম বলেন, ‘অনেকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
জায়গাটি পড়েছে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকাবাসী জানাস, কয়েক বছর আগে স্থানীয় কাউন্সিলর মো.

খাত্তাব মোল্লার উদ্যোগে ওই জায়গায় ময়লা রাখা শুরু হয়। আশপাশের আবর্জনা ভ্যানে এনে রাখা হতো। পৌরসভার ট্রাক প্রতিদিনই এসব সরিয়ে ফেলত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। এর পর থেকেই ময়লা আর সরানো হচ্ছে না। 
দুই ঝুট ব্যবসায়ী বলেন, তাদের গুদামে ৫০-৬০ নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে শ্রমিকরা কাজে আসতে চান না। 
একই এলাকায় মুরগি-মাছের খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠান সিপির কারখানা। প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার মো. এনামুল করিম বলেন, দুর্গন্ধে কর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। পৌরসভাকে ভাগাড়টি সরিয়ে নিতে লিখিত ও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা সরানোর ব্যবস্থা করেনি। কিছুদিন আগে তাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়েছেন। 

এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গতকাল রোববার সকালে মানববন্ধন পালিত হয়। চন্দ্রার পলানপাড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উত্তর পাশের এই কর্মসূচিতে কয়েকশ লোক অংশ নেন।  
বক্তারা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে এলাকাবাসী বাসায় পর্যন্ত টিকতে পারছেন না। আর বারবার দাবি জানানো হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। 
এ বিষয়ে  পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পৌরসভার নিজস্ব ডাম্প স্টেশন না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে। ওই এলাকায় ময়লা ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। শিগগিরই সমস্যার সমাধানের আশা করছেন।
পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসানের ভাষ্য, পৌরসভার নিজস্ব ডাম্প স্টেশন নেই। ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা এক জায়গায় রাখার পর ট্রাক দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কাছে জমি বরাদ্দ চেয়েছেন, পেয়ে গেলে এই সমস্যা থাকবে না।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়ল র স ত প এল ক ব স প রসভ র সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে ‍শিবচর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।

মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন