ক্যানবেরায় কুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী
Published: 19th, May 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিশেষ পুনর্মিলনী।
শনিবার সকালে ক্যানবেরার ওডেনের সাউদার্ন ক্রস ক্লাবে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। দিনটি ছিল কুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্যে আনন্দঘন এবং স্মরণীয়।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার এফ এম বোরহানউদ্দিন এবং ফেডারেল এমপি ডেভিড স্মিথ-এর উপস্থিতিতে এই বছরের পুনর্মিলনী আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। তারা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কুয়েট স্নাতকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য, পরিচিতিমূলক পর্ব এবং স্মৃতিচারণের পর প্রাণবন্ত নেটওয়ার্কিং বাড়ানোর ওপর অনুষ্ঠানে নানা আলোচনা করা হয়। মধ্যাহ্নভোজে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার ও স্থানীয় অস্ট্রেলিয়ান স্বাদের একটি চমৎকার মিশ্রণ। যা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল ভোজনের পাশাপাশি সংস্কৃতির সংযোগের এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
অংশগ্রহণকারীরা ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ এবং কুয়েট অ্যালামনাইদের মধ্যে সংযোগ আরও গভীর করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যাম্পাসে রোবটিক্স উৎসব
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথকে সুগম করতে প্রয়োজন কারখানাগুলোর স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যবস্থাপনা যা শিল্পকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি করবে এবং ব্যয় কমাবে। শিল্পকারখানার কাজে রোবটিক্সের ব্যবহার এ ক্ষেত্রে রাখবে অসাধারণ ভূমিকা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজন করা হয় জাতীয় রোবটিক্স ও প্রযুক্তি উৎসব। গত ৮-১০ মে রোবট আর তরুণ উদ্ভাবকদের কল-কবজায় মুখর হয়ে উঠেছিল চুয়েট। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং (এমআইই) বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘MIE Robolution 1.0’ শিরোনামে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের এক ব্যতিক্রমধর্মী রোবটিক্স ও প্রযুক্তি উৎসব যেন ছিল তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের উদ্ভাবনী শক্তির এক বিশাল প্রদর্শনী। দেশের ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নিয়েছে। সবচেয়ে
আলোচনায় এসেছে উৎসবের রোবটিক্স প্রতিযোগিতা। রোবো সকার, লাইন ফলোয়িং রোবট, টেকাথন, প্রজেক্ট শোকেস, ক্যাড ডিজাইন ও দাবা– এই ছয়টি ভিন্নধর্মী বিভাগে ভাগ করা প্রতিযোগিতাগুলোতে অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন প্রজন্মের মেধাবী তরুণ। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন গত ৮ মে সকাল ১০ টায় কেক কাটা এবং এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে সূচনা হয় অনুষ্ঠানটির। পরে বেলা ১১টা থেকে চুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় সেমিনার। এতে আমন্ত্রিত বক্তারা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খুব মনোযোগ সহকারে সেমিনারে বক্তব্য শোনেন। দ্বিতীয় দিন আয়োজিত হয় লাইন ফলোয়িং রোবট প্রতিযোগিতা। যেখানে সেন্সর ও লজিক দিয়ে পথ চিনে নেওয়া রোবট দেখায় বুদ্ধিমত্তার ঝলক। এতে নির্দিষ্ট পথে চলতে সক্ষম রোবটের তৈরি করে কারিশমা দেখান প্রতিযোগীরা। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে প্রযুক্তির ব্যবহার শিখে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তারপর শুরু হয় রোবো সকার প্রতিযোগিতা যেখানে রোবটগুলো মাঠে নামে গোলের লড়াইয়ে। দ্রুতগতি, কৌশল আর সমন্বয়ের এই খেলায় প্রতিযোগীরা দেখায় নিখুঁত প্রোগ্রামিং দক্ষতা। প্রযুক্তি ও খেলাধুলার অসাধারণ এই সংমিশ্রণ দর্শকদের মাঝে তৈরি করে উত্তেজনার ঝড়। রোবো সকার তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য এক চমৎকার চ্যালেঞ্জ ও আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। ওইদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘টেকাথন’। টেকাথন হলো হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের সমন্বিত হ্যাকাথন। যেখানে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সঙ্গে সফটওয়্যার এর সমন্বয় সাধন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী চুয়েটের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, টেকাথন হচ্ছে প্রথম অনসাইট হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের সমন্বিত হ্যাকাথন। এখানে অংশ নেওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবুও ভালো লাগছে। সামনের দিনগুলোতে এমন আরও আয়োজন দেখতে পাব বলে আশা করি। শেষ দিনে হয় কম্পিউটার ভিত্তিক ডিজাইনিং প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। মোট ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের পুরস্কার বিতরণ করা হয় এই অনুষ্ঠানে। সর্বশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই তিন দিনব্যাপী উৎসবের পর্দা নামে। v