নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ, জামিন শুনানি ২২ মে
Published: 19th, May 2025 GMT
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য আগামী ২২মে ধার্য করেন আদালত।
সোমবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল ভূঁইয়া কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজনীন আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গতকাল রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়। ভাটারা থানার পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আটকের পর নুসরাত ফারিয়াকে থানায় আনা হয়েছিল। তবে থানায় তাকে না রেখে পরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নুসরাত ফারিয়া ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। এ ছাড়া মডেলিং ও সঞ্চালনায়ও সক্রিয় তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জারিন তাসনিমের একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মাটি, মূর্তি ও মানস’
সাদা ক্যানভাসে চারকোলে আঁকা চিত্রকর্ম। তাতে তুলে ধরা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এরূপ ১৫টি চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্পী জারিন তাসনিমের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী ‘মাটি, মূর্তি ও মানস’ শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উত্তরার এলবিয়ন আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এটি চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামীম রেজা।
নিজের প্রথম প্রদর্শনী ও শিল্পকর্মের অভিজ্ঞতা জানিয়ে জারিন তাসনিম বলেন, কাজের মূল উৎসাহটা আমি পেয়েছি বাবার কাজের সুবাদে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে আমার। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঘুরে দেখার ফলে আগ্রহ জাগে সেগুলোর পেছনের ইতিহাস জানার। বরেন্দ্র, মহাস্থানগর,পাহাড়পুর, ময়নামতি দেখেছি,তাদের ইতিহাস জেনেছি। যে ইতিহাসের যতো গভীরে গিয়েছি, ততো বেশি বুঝতে পেরেছি যে, এগুলো আমাদের শেকড় সন্ধানী উপাদান। নিজেদের শেকড়কে যেন শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানাতে পারি। সেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আমার এই প্রদর্শনী।