জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ করতে চায় আলজেরিয়া
Published: 19th, May 2025 GMT
ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১৯ মে) নৌপরিবহন উপদেষ্টার সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে তারা জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
বৈঠকের শুরুতেই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “আলজেরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ।দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
আরো পড়ুন:
জব্বারের বলী খেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়: ফারুকী
নুসরাত ফারিয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন ফারুকী
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, “আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশ জাহাজ শিল্পে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী। এছাড়াও আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগাতে চায়।”
এ সময় রাষ্ট্রদূত মেরিটাইম সেক্টরে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আলজেরিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ তৈরি হচ্ছে এবং বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ রফতানি করা হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। এ সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে মেরিন একাডেমিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
তিনি রাষ্ট্রদূতকে চট্টগ্রাম, মোংলাসহ অন্যান্য বন্দর এবং শিপইয়ার্ড ও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পসহ মেরিটাইম সেক্টরে আলজেরিয়া সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে আলজেরিয়ার সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেন, “এ বিষয়ে আলজেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।”
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের লন্ডনে ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন সংস্থার (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি-সি নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য আলজেরিয়ার সমর্থন কামনা করেন। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বিএম জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ন উপদ ষ ট আলজ র য় র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।