কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্ট জয় শাকিলের
Published: 19th, May 2025 GMT
অনন্য নজির গড়ে সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। এত কম বয়সে এবং পদযাত্রার মাধ্যমে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের নজির আগে আর কেউ দেখাতে পারেননি।
নেপালের স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তিনি চূড়ায় পৌঁছান বলে তার ফেসবুক পেইজে জানানো হয়।
শাকিলের এবারের অভিযান ছিল ‘সি টু সামিট’, যেখানে তিনি সবচেয়ে কম সময়ে এবং পদযাত্রায় সর্বোচ্চ পথ পাড়ি দিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শাকিল এই রেকর্ড গড়েছেন সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে।
পর্বতারোহী শাকিল গত ৯ মার্চ ঢাকার গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করে তার ‘সি টু সামিট’ যাত্রার বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেছিলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে তিনি ৯০ দিনের মধ্যে সামিট জয়ের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছেন। ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সীগঞ্জের পথ ধরে তিনি তখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
যাত্রাপথে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ওপর দিয়ে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তিনি এভারেস্টের ২৯ হাজার ৩১ ফুট উঁচু শিখরে আরোহণ করতে চান বলে জানিয়েছিলেন। তবে তিনি ৯০ দিনের মধ্যে সামিট জয়ের লক্ষ্য ঠিক করলেও তা ৮৪ দিনেই সম্পন্ন করেছেন।
এ অভিযানের আয়োজক ছিল বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। ক্লাবটির সমন্বয়ক সাদিয়া সুলতানা শম্পা শাকিলে ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে জানান, শাকিল এভারেস্ট জয় করে ক্যাম্প ৪-এ ফিরে এসেছেন। সমুদ্র থেকে পদযাত্রা করে প্রায় ১৩শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দ্রুততম সময়ে শিখর স্পর্শ করেছেন। তবে যোগাযোগ সমস্যা থাকায় ঠিক কোন সময়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন বা সঙ্গে কতজন ছিলেন-এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
পরে শাকিলের পেইজ থেকে আরেক পোস্টে জানানো হয়, পরিবেশ সচেতনতা, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো এবং একক ব্যবহৃত প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাহসী পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল সম্পন্ন করলেন ২০২৫ এর অন্যতম দুঃসাহসিক অভিযান “সি টু সামিট এভারেস্ট অভিযান ২০২৫”।
পোস্টে আরও বলা হয়, এই অভিযানের মূল বিষয়বস্তু ছিল বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতের সমুদ্র সমতল থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট শিখরে আরোহণ। ২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী সৈকত থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন শাকিল। এরপর ৬৪ দিনে প্রায় ১,৩৭৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছান এভারেস্ট বেসক্যাম্পে। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তিনি সাঁতরে পার হন খরস্রোতা যমুনা নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ।
সবশেষে আজ, ১৯ মে সকাল পৌনে ৭টায় শাকিল আরোহণ করেন মাউন্ট এভারেস্টের শিখর এবং সেখানে তুলে ধরেন বাংলাদেশের পতাকা।
এই অভিযানে শাকিলের সহযাত্রী হিসেবে আছে তাঁর বন্ধু, খ্যাতনামা শেরপা গাইড তাশি গ্যালজেন। তিনিও এক বিশ্ব রেকর্ডের পথে। একই মৌসুমে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে চারবার এভারেস্ট আরোহণের লক্ষ্য নিয়ে অভিযানে আছেন। ইতোমধ্যে তিনি সফলভাবে তৃতীয়বারের মতো শিখর আরোহণ করলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জয় র লক ষ য কর ছ ন ট জয় র
এছাড়াও পড়ুন:
যবিপ্রবিতে মাল্টিপারপাস রোভার কর্মশালা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) যশোর জেলা মাল্টিপারপাস রোভার ওয়ার্কশপ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে বাংলাদেশ স্কাউটস যশোর জেলা রোভার শাখার উদ্যোগে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন রোভার ইউনিটের সদস্য, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে রোভার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সংগঠন ও সমাজ উন্নয়নমূলক বাস্তবায়িত ও অনাবাস্তবায়িত কাজের পর্যালোচনা, ২০২৫-২৬ সালের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ইউনিট নবায়ন ও সদস্যপদ গ্রহণ প্রক্রিয়া নির্ধারণ এবং রোভার কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নিয়ে আলোচনা ও গ্রুপ ওয়ার্ক অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে চবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি
কর্মশালায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে নির্বাহী কমিটির সভা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, দিবস উদযাপন, বন্যার্তদের সহায়তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রোভারদের অংশগ্রহণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের বিবরণ উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় যশোর জেলা রোভার কমিশনার সৈয়দ আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নেতৃত্বদানে সক্ষম ও আত্ম-নির্ভরশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে রোভার স্কাউট কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ধরনের কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি তৃতীয় ভাষা শেখার ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি সফট স্কিল উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।”
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী