Prothomalo:
2025-07-08@09:24:30 GMT

ছোট্ট কুকুরের ৪ লাখ অনুসারী

Published: 20th, May 2025 GMT

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জার্মান শেফার্ড, গোল্ডেন রিট্রিভার বা স্প্যানিয়েল প্রজাতির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর পুলিশকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিত করে। তবে করগি জাতের ছোট্ট পায়ের কুকুর পুলিশের কাজে সহযোগিতা করছে, এমন খবর খুব কমই শোনা যায়। চীনে ফু জাই নামের একটি করগি কুকুর পুলিশের দায়িত্ব পালন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুকুরটির চার লাখের বেশি অনুসারী (ফলোয়ার) রয়েছে, যেখানে প্রতিনিয়ত এটির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভিডিও পোস্ট করা হয়।

গত অক্টোবরে চীনের শানডং প্রদেশের ওয়েইফাং শহরের জননিরাপত্তা ব্যুরোতে যুক্ত হয় ফু জাই। কর্মতৎপর ছোট্ট কুকুরটি ‘স্নিফার ডগ’ হিসেবে কাজ করছে। তীক্ষ্ণ ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের বিস্ফোরক শনাক্ত করতে পারে সে। শুধু দক্ষতাই নয়, বাহ্যিক সৌন্দর্য, ছেলেমানুষি আচরণ আর খাবারের প্রতি অদম্য আসক্তি দিয়ে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ফু জাই।

করগি প্রজাতির এই কুকুর একসময় ঘরোয়া পোষা প্রাণী ছিল। গত বছর এটি পুলিশে যোগ দেয়। সেই ঘটনাও ছিল বেশ মজার। পুলিশ প্রশিক্ষক ঝাও ছিংশুয়াই একদিন ফু জাইকে একটি পার্কে দেখতে পান। নাম ধরে ডাকতেই এটি আনন্দের সঙ্গে দৌড়ে চলে আসে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঝাও বলেন, ফু জাই খাবার দেখলে মোটেই ঠিক থাকতে পারে না। এটা প্রমাণ করে যে তার মধ্যে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি প্রবল।

তবে এই ইচ্ছাশক্তি কুকুরটিকে অনেক সাফল্যের পাশাপাশি কিছু মজার বিপত্তির মুখেও লেছে। সম্প্রতি টহলের সময় একটি শিশুর হাত থেকে সসেজ ছিনিয়ে নেয় ফু জাই। আর সেই দৃশ্য একটি ভিডিওতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনার পর প্রশিক্ষকেরা কুকুরটির খাবারের প্রতি দুর্বলতা নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। তবে এ ঘটনায় তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকেরা তাকে ব্যাপক উৎসাহ দেন। সঙ্গে আরও সসেজ দেওয়ার প্রস্তাব।

ফু জাই প্রমাণ করেছে যে সে পুলিশের দক্ষ সদস্য। ছোট আকারের হওয়ার কারণে এটি এমন জায়গায় ঢুকতে পারে, যেখানে বড় কুকুর যেতে পারে না। যেমন গাড়ির নিচে বা বাসের সিটের তলায় অনায়াসেই ঢুকে যেতে পারে ফু জাই। এই যোগ্যতা তাকে অনন্য ও অপ্রত্যাশিত সম্পদে পরিণত করেছে।

টিকটকের মতো চীনের আরেকটি প্ল্যাটফর্ম দাউইনে ফু জাইয়ের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে। সেখানে ওয়েইফাং পুলিশ নিয়মিত এটির সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য জানায়। ‘ফু জাই ও তার সঙ্গীরা’ শিরোনামের একটি অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে চার লাখের বেশি অনুসারী যুক্ত হয়েছে। ভক্তরা নিয়মিত তার সানগ্লাস পরা, উৎসবে পাহারা দেওয়া ও প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেওয়ার ছবি দেখতে অ্যাকাউন্টে ঢুঁ মারেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে আরো অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

ইউক্রেনের ওপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এই নিয়ে কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এবার তিনি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক আক্রমণের প্রেক্ষিতে দেশটিকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের জানান, “আমরা আরো কিছু অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি। আমাদের এটা করতেই হবে। ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার সুযোগ দিতে হবে।”

কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “রাশিয়া এখন প্রচণ্ডভাবে ইউক্রেনকে আঘাত করছে। সেখানে এর ফলে অনেক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা ইউক্রেনে আরো কিছু অস্ত্র পাঠাতে চলেছি। এতে তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।”

আরো পড়ুন:

মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন

ইউক্রেনের লুহানস্ক পুরোপুরি দখলে নেওয়ার দাবি রাশিয়ার

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউজ ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মার্কিন অস্ত্রের চালান স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। তারা বলেছিল, অস্ত্র সরবরাহ কমলে রাশিয়ার আকাশ ও স্থল হামলা প্রতিহত করা কঠিন হবে। এই বিষয়টি নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতেও সমালোচনা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সেই হোয়াইট হাউজেই সাংবাদিকদের ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর কথা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে আমাদের আরো অস্ত্র পাঠাতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো হবে।” তবে কী ধরনের অস্ত্র পাঠানো হবে তা জানাননি তিনি।

এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে তাতে তিনি ‘অসন্তুষ্ট’।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য একাধিকবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবারও তাদের দুজনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তবে আলোচনা যে ফলপ্রসূ হয়নি তাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, “পরিস্থিতি খুবই কঠিন। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে আমি খুবই অসন্তুষ্ট। তিনি কেবল মানুষ হত্যা চালিয়ে যেতে চাইছেন। তা কখনই ভালো বিষয় নয়।”

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। কিন্তু ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার বিষয়ে সন্দিহান এবং তিনি প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করেননি। এই বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কিয়েভের জন্য কোনো নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেননি।

রাশিয়া গত কয়েক দিনে ইউক্রেনের একাধিক শহরে বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবিও জানান তিনি।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ