বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর হুঁশিয়ারি আমিরাত অধিনায়কের
Published: 20th, May 2025 GMT
শারজাহর ছোট মাঠে বাংলাদেশের দেওয়া ২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্যকে তাড়া করা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু আরব আমিরাত দেখিয়ে দিল, বিশ্বাস থাকলে অসম্ভবও সম্ভব। শুরুটা যিনি করে দিয়েছিলেন, তিনি অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। ৪২ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় তার হাত ধরেই।
তবে ওয়াসিম যখন আউট হন, তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩১ বলে ৫৮ রান। সেই অসম কাজটিই সেরে ফেলেন দলটির নিচের সারির ব্যাটাররা, যাদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে হারানোর স্বাদ পেল আমিরাত।
ম্যাচ শেষে ওয়াসিম, বলেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশকে হারিয়ে দারুণ লাগছে। আমি সবাইকে বিশ্বাস দিচ্ছিলাম, এই রান তাড়া সম্ভব কারণ আমরা এই কন্ডিশন চিনি।’
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মিঁয়া চান্নু শহরে জন্ম নেওয়া ওয়াসিমের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল টেপ টেনিস দিয়ে। পরবর্তীতে বুরেওয়ালার রশিদ লতিফ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। তবে পাকিস্তানে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন জেনেই পাড়ি জমান আরব আমিরাতে। সেখানে এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয় তার প্রবাসজীবন ও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর থেকে তিনি হয়ে ওঠেন দলের মেরুদণ্ড। গত চার বছরে ওয়াসিমের মতো ধারাবাহিক পারফরমার খুব কমই আছে। ৭১ ইনিংসে করেছেন ২ হাজার ৬৫১ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫৬.
আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ওয়াসিম এবার বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটা খেলব এবং লক্ষ্য থাকবে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতার।’
বাংলাদেশের আমিরাত সফরে এবার দুটি টি-টোয়েন্টিই ছিল। পাকিস্তান সফরের আগ মুহূর্তে খরচ বাঁচাতে বিসিবি প্রস্তাব দেয় একটি বাড়তি ম্যাচ আয়োজনের, যাতে সাড়া দেয় আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড। সেই ম্যাচই এখন সিরিজ নির্ধারণী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২১ মে, বুধবার শারজাহতেই অনুষ্ঠিত হবে সেই বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনাল ম্যাচ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
অভিনেতা থেকে প্রযোজক শরীফ
দেড় যুগের বেশি সময় মঞ্চে অভিনয় করে বড় পর্দায় নাম লেখান শরীফ সিরাজ। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর বুঝতে পারেন, এফডিসি ঘরানার সিনেমা নিয়ে অনেকেরই নাক সিঁটকানো ভাব, কেউ কেউ ছোট করেও দেখেন, এমনকি এফডিসির সিনেমা নিয়ে নেতিবাচক কথাও শুনতে হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি এফডিসির সিনেমায় না জড়িয়ে নাটক থেকে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।
এফডিসির কাজে অভিজ্ঞতা
এফডিসি ঘরানা বলে কাজটাকে কেন আলাদা করা হয়, দীর্ঘ সময় এটাই বুঝে উঠতে পারতেন না শরীফ। ‘পরে কাজ করে যতটুকু বুঝেছি, এফডিসি ঘরানার কাজগুলোর বেশির ভাগ কলাকুশলী এফডিসির থাকেন। আবার নাটক থেকে উঠে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে বেশির ভাগ কাজ করেন নাট্যাঙ্গনের শিল্পী–কলাকুশলীরা। ওটিটিতে আবার দুই ঘরানার মিশ্রণ। সব ধরনের টিমের সঙ্গেই কাজ করেছি। সবাই ভালো। বিশেষ করে বলব, এফডিসির আলাদা একটা জায়গা রয়েছে। এখানে পেশাগত জায়গাটা যেমন আলাদা, তেমনি পেশাদারিটাও বেশি। কীভাবে শিল্পীদের সম্মান করতে হয়, তারা সেটা বেশি জানে। এফডিসি নিয়ে আমার মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই। সবার সঙ্গে কাজ করেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য,’ বলেন শরীফ।