প্রত্যাহার হওয়া সেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ফের দায়িত্বে
Published: 20th, May 2025 GMT
কাজে অবহেলার দায়ে প্রত্যাহার হয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত থাকা সিরাজগঞ্জের সেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আবারও ‘দায়িত্ব’ ফিরে পেয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক আদেশে জনস্বার্থে তাদের পদায়ন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পরিদর্শক মো. রওশন ইয়াজদানী সদর কোর্টে দায়িত্ব পেয়েছেন। আর যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। গত ১৮ মে পুলিশ সুপার মো.
এর আগে রায়গঞ্জ থানার ওসির পদ থেকে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও এনায়েতপুর থানার ওসির পদ থেকে মো. রওশন ইয়াজদানীকে প্রত্যাহার করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ‘আরাফাত-শরীফের আলোচিত ব্যক্তিগত বন্দিশালায়’ দুই জন গত ছয় মাস ধরে জিম্মি থাকা ও উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে রায়গঞ্জ থানার ওসির পদ থেকে গত ৫ মে প্রত্যাহার করা হয়। অপরদিকে, এনায়েতপুরে এক তাঁত মালিকের ফ্যাক্টরিতে ডাকাতির ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অপরাধে একই আদেশে রওশন ইয়াজদানীকেও প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে, নতুন আদেশে আরও ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে। সদর কোর্টের পরিদর্শক আব্দুল হাইকে কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে, কামারখন্দ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল লতিফকে একই থানার ওসির পদে, চৌহালী থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেনকে কাজিপুরের যমুনার চরের দুর্গম নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক পদে, রায়গঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলামকে জেলার ডিএসবিতে, ডিএসবির ইন্সপেক্টর আহসানুজ্জামানকে সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পদে, সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কে. এম. মাসুদ রানাকে রায়গঞ্জ থানার ওসি এবং বেলকুচি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আব্দুল বারিককে চৌহালীর ওসির পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা পুলিশে এত রদবদল হলেও সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের আলোচিত ওসি মো. একরামুল হোসাইন এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন তমালকে গত বছরের ৪ মার্চ গুলি করেন। ওই ঘটনায় শিক্ষক রায়হানকে দু’টি পিস্তল, ১২টি জাপানি ও বার্মিজ চাকু এবং ৭৮ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়ে তিনি আদালতে ১৬১ ধারায় জবানবন্দী দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১-১২ বর্ষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়া অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা সাদুজ্জামান উপলের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার নওদাপাড়ার অস্ত্র ব্যবসায়ী এসএস আল হোসাইন সোহাগের কাছ থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনেন। সেই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে বাদ দিয়ে শুধু শিক্ষক রায়হানকে অভিযুক্ত করে গত ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ডিবির ওসি একরামুল।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনে নিজ অফিস কক্ষে সমকালকে বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোহাগকে অব্যাহতি দিয়েছে ডিবি। তারপরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ প ল শ কর মকর ত র য়গঞ জ থ ন র স র জগঞ জ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সোমা ইসলামের নামে আট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের নামে থাকা অস্থাবর সম্পদসমূহ (বিও অ্যাকাউন্ট ও শেয়ার) অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
সাফিনুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তাদের নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। অনুসন্ধানকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাদের নামীয় ব্যাংক স্থিতি নগদায়ন করে অন্যত্র হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। এসব হিসাবের অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ছিদ্দিকুর রহমানের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার পরিচালক আবুল হাসনাত। আবেদনে বলা হয়, ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে পাওয়া রেকর্ডপত্র মোতাবেক জানা যায়, ছিদ্দিকুর রহমান ও রেবেকা রওশনের নামীয় সর্বমোট ১৩টি বিও অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তাদের নামীয় অস্থাবর সম্পদসমূহ হতে টাকা উত্তোলন করে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন মর্মে গোপন সূত্রে জানা গেছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
ঢাকা/এম//