দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ভাঙন সম্ভবত আর ঠেকানো যাচ্ছে না। অগ্নিযুগের বিপ্লবী ও সাহিত্যিক-সংগঠক সত্যেন সেনের গড়া এবং সাংবাদিক-সাহিত্যিক রণেশ দাশগুপ্ত ও শহীদুল্লা কায়সারের স্মৃতিবাহী এ সংগঠনের ২৩তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। সেখানে নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে বিরোধ হাতাহাতিতেও গড়ায়। দু’পক্ষই নিজের মতো সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা এবং কমিটি গঠন করে সংগঠনের নামে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। দেশ-বিদেশের শুভানুধ্যায়ীরা এতে হতাশ হন। এক পর্যায়ে তাদের চাপে দু’পক্ষই ঐক্যবদ্ধ অভিন্ন কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু দু’পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। এ প্রেক্ষাপটেই মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে একপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, তারা সংগঠনের ‘অসমাপ্ত’ সম্মেলনটি সমাপ্ত করতে চলেছে আগামী ২০ জুন। অপরপক্ষ এ ঘোষণাকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে বলেছে, সংবাদ সম্মেলনকারীদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামাজিক মাধ্যমেও দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হুঙ্কার বিনিময় শুরু হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, উদীচীর একপক্ষ মনে করে, অপরপক্ষ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সমর্থক এবং গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। ওই পক্ষের পাল্টা অভিযোগ, তাদের বিরোধীরা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট এবং বিদেশি সাহায্যপুষ্ট হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেমেছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রশ্নে আপসহীন সংগঠনটির দু’পক্ষের বিরোধের শিকড় যে বেশ গভীরে প্রোথিত, তা নিশ্চয় বোঝা যায়।

রাজনীতি সচেতনরা জানেন, এ দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের ভাঙন প্রক্রিয়া শুরু হয় সাধারণত অঙ্গ বা গণসংগঠনের মধ্য দিয়ে। উদীচী ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ এ দেশের প্রতিটি যুগান্তকারী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) অন্যতম গণসংগঠন। তাই উদীচীর সম্ভাব্য ভাঙন মূল দলের অনুরূপ সংকটেরই প্রকাশ বলে অনেকে মনে করেন। 
২০২১ সালে সিপিবিরই আরেক গুরুত্বপূর্ণ গণসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দু’ভাগ হয়েছিল। তখনও উদীচীর মতো ভয়ংকর সব ভাষা ব্যবহার করে ছাত্র ইউনিয়নের একপক্ষ আরেক পক্ষকে আক্রমণ করেছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সামনের সারির সংগঠকদের নিয়ে ওই বছর প্রতিষ্ঠিত ছাত্র ইউনিয়নের দুর্ভাগ্যজনক বিভাজন এখনও ঘোচেনি। বরং সম্প্রতি একপক্ষের আলাদা সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে আরও পোক্ত হয়েছে। বলে রাখা দরকার, উদীচী ও ছাত্র ইউনিয়নের দু’পক্ষই যে সমশক্তিধারী, তা নয়। যে পক্ষকে আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে অন্যপক্ষ বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, তারা উভয় সংগঠনেই সংখ্যাগুরু বলে মনে হচ্ছে। কৌতূহলোদ্দীপক হলো, উদীচী ও ছাত্র ইউনিয়নের সংখ্যাগুরু অংশের পৃষ্ঠপোষকরাই সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সংখ্যাগুরু। অর্থাৎ সিপিবির সংখ্যালঘু অংশ ওই দুই সংগঠনেও সংখ্যালঘু। উপরন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন দলের সংখ্যাগুরু অংশকেও দলের সংখ্যালঘু অংশ ওই দুই গণসংগঠনের বিদ্রোহী অংশেরই ভাষায় আওয়ামী লীগের বি টিম বলতে কসুর করে না। আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মূল্যায়ন নিয়ে দু’পক্ষের মত প্রায় পরস্পরবিরোধী।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সমকালে প্রকাশিত আমার নিবন্ধে উদীচীরই সম্ভাব্য ভাঙন ঘিরে আলোচনা করতে গিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছি। সেখানে ৩ অক্টোবর প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে বলেছিলাম, গত ১০ আগস্ট সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনকে ‘চরম প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর ক্যু’ হিসেবে দেখালে অন্য অংশ আপত্তি জানায়। সেই সভাটি ওই অবস্থায়ই শেষ হয়। এর পর বহুবার দেশের প্রধান বাম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠক করেছে। কিন্তু ওই বিভাজন ঘোচেনি। দু’পক্ষই বরং দলের কংগ্রেস এগিয়ে এনে সেখানেই বিষয়টির ফয়সালা করতে একমত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সিপিবির কংগ্রেস ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি বা কাছাকাছি সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুলাই মাসে।
নিবন্ধটি প্রকাশ হওয়ার পর সিপিবির বহু নেতাকর্মীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের মতো দলটির অনেক সাবেক নেতাও তখন বলেছিলেন, উদীচীর বিভক্তি অন্তত কংগ্রেস পর্যন্ত চলবে। তারা বলেছিলেন, ইতোমধ্যে যদি উদীচী ঐক্যবদ্ধ কমিটি করে তাহলে বুঝতে হবে, দলের দুই অংশের বিরোধ কমে এসেছে। আর তা না হলে যতই বেদনাদায়ক হোক, আগামী কংগ্রেসে সিপিবির অভ্যন্তরীণ সংকট চূড়ান্ত পরিণতি পাবে।

প্রতিটা দলেরই গড়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় এক প্রকার ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে। সিপিবি এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। দলটির ওই নেতাকর্মীর মতে, ওই ব্যক্তিত্বের সুরক্ষা প্রশ্নে আগামী কংগ্রেসেও দলের বর্তমান সংখ্যাগুরুরাই জয় পেতে পারেন। তখন দলের ভাঙন অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। এ কারণেই দলের বিভিন্ন গণসংগঠনে নেতৃত্ব দখলের প্রতিযোগিতা এমনকি অসুস্থ হয়ে উঠছে।
তবে সিপিবির ভাঙন হবে চরম হতাশাজনক। বাম শিবির তো বটেই, দেশের উদারমনা ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তার মানুষেরও অসহায়ত্ব তখন বেড়ে যাবে। সিকি শতাব্দীরও বেশি সক্রিয় বাম রাজনীতি করার সুবাদে, সিপিবি ঘরানার কোনো সংগঠন না করলেও তাদের সঙ্গে আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছি। সমাজের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে দলটির আদর্শ বা তৎপরতার ছাপ পড়েনি। ১৯৪৭-এ দেশভাগের পর নতুন বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে দলটি নতুন যাত্রা শুরু করলেও কার্যত শতবর্ষেরও আগে জন্ম নেওয়া সিপিবি দীর্ঘ সময় এ দেশের রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করেছে। 
মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদের আবেগ-অনুভূতি দ্বি-জাতিতত্ত্বের ঘোর লাগা বাঙালি মুসলমানদের মননে প্রবেশ করাতে সিপিবি ও তার বিভিন্ন গণসংগঠনের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। এ দেশে লাখ লাখ মানুষ আছেন যারা ভোট অন্যত্র দিলেও মননে বামপন্থি-সততা, দেশপ্রেম, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন প্রশ্নে আন্তরিক।

আমার বিশ্বাস, বর্তমানে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের আবেগধারী ও অসাম্প্রদায়িক শিবিরে যে এক প্রকার নেতৃত্বশূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে; সঠিক রাজনীতি ও কর্মকৌশলের মাধ্যমে সিপিবি ওই জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে ধারণ করতে পারে। সর্বোপরি যখন গোটা বাম শিবিরের ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামার কথা, তখন সিপিবিকে দুর্বল করা হলে ইতিহাসও বিভেদকারীদের ক্ষমা করবে না। 
বিস্ময় লাগে, যে সিপিবি দলের মধ্যে ভিন্নমত সামাল দেওয়া এবং নেতৃত্ব পরিবর্তনের এখন পর্যন্ত টেকসই গণতান্ত্রিক পথ দেখিয়েছে, সেই সিপিবি ভিন্নমতকে ভাঙনের দিকে যেতে দেয় কীভাবে? দলটির নেতৃত্বের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদেরও কাছে আবেদন, এখনও সময় আছে, একটু আত্মানুসন্ধান করুন। আবার প্রমাণ করুন– বিভেদ নয়, ঐক্যেই মুক্তি।

সাইফুর রহমান তপন: সহকারী সম্পাদক, সমকাল
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উদ চ শ ল প গ ষ ঠ ক ন দ র য় কম ট গণস গঠন স গঠন র একপক ষ র জন ত প রক শ প রক র দলট র আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

আরও প্রকট হয়েছে উদীচীর সংকট

দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বদিউর রহমান ও সহসভাপতি মাহমুদ রহমান সেলিমের অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে একপক্ষ। তবে আরেক পক্ষ বলছে, সম্পাদকমণ্ডলীর নামে সভা ডেকে এ অব্যাহতির ঘোষণা অবৈধ। আগামী ২০ জুন অনুষ্ঠিতব্য ২৩তম অসমাপ্ত জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।  

গতকাল বুধবার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বিবদমান একপক্ষের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিপক্ষের দুই নেতাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগঠনের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, অসাংগঠনিক তৎপরতা, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন, বিভ্রান্তি ও অনৈক্য সৃষ্টির অভিযোগে উদীচীর সভাপতি বদিউর রহমান ও সহসভাপতি মাহমুদ সেলিমকে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২৩তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেন অধ্যাপক বদিউর রহমান। তিনি আগামী ২০ জুন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জাতীয় সম্মেলনের অসমাপ্ত ও অসম্পূর্ণ কাউন্সিল (নির্বাচনী) অধিবেশন আহ্বান করেন। তিনি বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে একপক্ষের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দের নেতৃত্বাধীন অংশের সমর্থন করেন।
অব্যাহতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বদিউর রহমান ও মাহমুদ সেলিমসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগের তদন্ত চলমান। তদন্ত কমিটির সুপারিশে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংগঠনের ভেতরে ও বাইরে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী এ প্রধান দুই ব্যক্তিকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠন। এতে বলা হয়, আগামী ২৩ মে উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে ওই সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের বক্তব্য ও অবস্থান জানানো হবে।

বদিউর রহমানের সমর্থক অংশের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে সমকালকে বলেন, কোরামবিহীন সম্পাদকমণ্ডলীর সভা ডেকে এভাবে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না। উদীচীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পরিষদের সভায় সবার উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। কাজেই এটা সম্পূর্ণ অবৈধ ও অগঠনতান্ত্রিক। 
অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন বলেন, উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে সম্পাদকমণ্ডলী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা গঠনতন্ত্রেই আছে। কাজেই এ ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্রের কোনো বরখেলাপ হয়নি। তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলন ডেকে বদিউর রহমান অসমাপ্ত জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটা তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তিনি এটা করতে পারেন না। আসলে বদিউর রহমান ও তাঁর সমর্থকরা উদীচী কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অনৈক্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৩ মে কেন্দ্রীয় সংসদের সভায় যে সিদ্ধান্ত আসবে, সেটাই কার্যকর হবে।
এর আগে উদীচীর ২৩তম জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে দু’পক্ষের মধ্যে হৈহট্টগোল ও মারামারি ঘটে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরও প্রকট হয়েছে উদীচীর সংকট