চবিতে ক্লাস করতে আসা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
Published: 22nd, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্লাস করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম ইমন চন্দ্র বর্মণ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগে গত ২০ জানুয়ারি ইমনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারাদেশ থাকা অবস্থায় ক্লাস করতে এলে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ইমন বুধবার ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে আসে। বৃহস্পতিবার তার একটি কোর্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা রয়েছে। ক্লাস করে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে রেলওয়ে স্টেশনে ছাত্রদলের কর্মীরা তাকে আটক করে। এরপর সেখান থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে ইমনকে মারধর করেন। পরে তাকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন তারা। সেখানে বহিষ্কারের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আসবে না, এমন মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় প্রক্টরিয়াল বডি। পরে ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশের সহায়তায় ক্যাম্পাসের এক নম্বর গেট এলাকা থেকে বাহিরে নিয়ে যান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
ইমন বলেন, আমি বিভাগ থেকে বহিষ্কারের চিঠি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রকাশিত ৮৪ জন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর তালিকায় আমার নাম রয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হলেও আমার বহিষ্কারাদেশ বহাল আছে। আজ ক্লাস করার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। ক্লাস শেষে ফেরার পথে স্টেশনের পাশে কয়েকজন ছাত্রদল কর্মী আমাকে জোর করে ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে মারধর করে।
ইমন ও তার সহপাঠীদের অভিযোগ, ছাত্রদলের কর্মীরা তার থেকে চাঁদা চেয়েছেন। এছাড়াও বহিষ্কারাদেশ নিয়ে ইমনের দাবি, তিনি জুলাই আন্দোলনে কোনো হামলায় জড়িত ছিলেন না।
ইমনকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান চবি শাখা ছাত্রদলের কর্মীরা। সেখানে থাকা ছাত্রদল কর্মী মো.
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান সমকালকে বলেন, ৮৪ জন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর তালিকায় থাকা এক শিক্ষার্থী ক্লাস করতে এসেছিলেন। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। সেই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষকদের অবগত অবস্থায় সে ক্লাস করেছে। তার সহপাঠীরা দাবি করেন, ক্লাস করতে আসার পর অপহরণের শিকার হন ইমন।
তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রকে একদল শিক্ষার্থী প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে তার থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল স করত ক ল স কর কর ম র ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর, মুচলেকায় ছাড়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম ইমন চন্দ্র বর্মণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা চালানোর অভিযোগে তাঁকে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ইমন চন্দ্র বর্মণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের চিঠি তাঁকে পাঠিয়েছিল প্রশাসন। তবে ইমনের দাবি, তিনি হামলায় জড়িত ছিলেন না। প্রশাসন থেকে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হলেও এ বহিষ্কারাদেশ এখনো বহাল রয়েছে।
ইমন ও তাঁর সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার একটি কোর্সের টিউটোরিয়াল পরীক্ষা থাকায় ইমন আজ ক্লাস করতে এসেছিলেন। ক্লাস করে ক্যাম্পাস থেকে ফেরার পথে রেলওয়ে স্টেশনে ছাত্রদলের কর্মীরা তাঁকে আটক করেন। এরপর সেখান থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে মারধর করার পর ইমনকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা। সেখানে বহিষ্কারের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তিনি ক্যাম্পাসে আসবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেয় প্রক্টরিয়াল বডি।
ছাত্রদলের যেসব কর্মী ইমনকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে যান, তাঁদের একজন সাঈদ মো. রেদোয়ান। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ক্লাস করছেন, এমন খবর পেয়ে তাঁরা ইমনকে আটক করেছিলেন। এরপর প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে গেছেন।
রেদোয়ান ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মামুনুর রশিদের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কারাদেশ স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বহিষ্কৃতদের কেউ ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না। এরপরও নিষিদ্ধঘোষিত দলের এক কর্মী ক্যাম্পাসে এসেছেন। তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্র হচ্ছেন। নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। তাঁরা এটা প্রতিহত করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বহিষ্কারাদেশ থাকার পরও ক্লাস করতে এসেছিলেন একজন। তিনটি ক্লাসও করেছেন। বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না। তাঁর সহপাঠীরা দাবি করেছিলেন, ক্লাস করতে আসার পর তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন। তবে এ ঘটনার সত্যতা পাননি।