একটি হারকে ‘দুর্ভাগ্য’ বলা গেলেও টানা দুই ম্যাচে পরাজয়? সেটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য লজ্জার! তাও আবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। এমন দলের কাছে সিরিজ হেরে যেন অপমানের ষোলোকলা পূর্ণ করল টাইগাররা।
শারজায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের কাছে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখেই হেরে যায় বাংলাদেশ। আর তাতেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় আমিরাত। এটি টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় সিরিজ জয়, আগেরটি ছিল ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
অন্যদিকে, নিয়মিত টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সিরিজেই এমন হতাশাজনক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন লিটন দাস। ম্যাচ শেষে হারের দায় নিজের কাঁধে না নিয়ে বরং বারবার আঙুল তুলেছেন ‘শিশির’ নামক ফ্যাক্টরের দিকে।
লিটন বলেন, 'আজ আমরা ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল করেছি। এই উইকেট এবং কন্ডিশনে আমরা এমন কিছু করতে চাইনি। তিন ম্যাচেই টস হেরে পরে ব্যাট করেছি, আর শিশির ছিল মূল ফ্যাক্টর।'
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করলেও, শিশিরকেই মূল পার্থক্য হিসেবে তুলে ধরেন লিটন, 'তারা খুব ভালো খেলেছে, দারুণ বোলিং করেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় তারা শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। ওরা ভড়কে যায়নি, সেখানেই তাদের কৃতিত্ব।'
উল্লেখ্য, এই সিরিজ হারের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পর আরব আমিরাতই হলো দ্বিতীয় সহযোগী দেশ, যারা বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য যেটি অশনি সংকেত।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’