স্যামসন এইচ চৌধুরীর জন্মশতবর্ষে ‘অনিতা-স্যামসন’ ট্রাস্ট গঠন করা হচ্ছে: তপন চৌধুরী
Published: 22nd, May 2025 GMT
প্রশ্ন:
অভিনন্দন আপনাকে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এই অর্জনের জন্য। এই স্বীকৃতি স্কয়ারের ভবিষ্যৎ পথচলাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?
তপন চৌধুরী: ধন্যবাদ। এ স্বীকৃতি চিকিৎসক-কেমিস্ট থেকে শুরু করে স্কয়ার পরিবারের সব সদস্যের। যাঁদের কাজের ফলে স্কয়ার এই স্বীকৃতি পেয়েছে। আশা করি, তাঁরা সবাই অনুপ্রাণিত হবেন।
প্রশ্ন:এ অর্জন প্রমাণ করে, জাতীয় অর্থনীতিতেও স্কয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে.
তপন চৌধুরী: নিঃসন্দেহে। প্রত্যক্ষভাবে জিডিপিতে আমাদের অবদান শূন্য দশমিক ৫%, পরোক্ষভাবে সেটা ৩ দশমিক ৫%। আর রাজস্বের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্কে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যেটি মোট রাজস্বের প্রায় শূন্য দশমিক ৬৩%। এই অঙ্কগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন:অনেকের আশঙ্কা, স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণ ঘটলে ওষুধের দাম বাড়বে। এ সমস্যা আমরা কীভাবে মোকাবিলা করতে পারি?
তপন চৌধুরী: এত দিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে লিগ্যালি আমরা যেকোনো পেটেন্টের প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারতাম। ভবিষ্যতে একটা বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে এখন অন্তত ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরের সমস্যা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বড় সমস্যা হবে না।
প্রশ্ন:দেশের বাইরেও নিজেদের পরিসর বৃদ্ধি করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস...
তপন চৌধুরী: আমরা শুধু দেশের কথা ভাবছি না। বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ থাকলে আমাদের বেশ কিছু কোম্পানি ভালোভাবেই সুযোগটা নিতে পারবে। যেমন এই মুহূর্তে কেনিয়ায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটা ফ্যাক্টরি আছে, যেখানে আমরা ভালো করছি। এভাবে আমাদের নিজস্ব আয়কৃত বৈদেশিক মুদ্রা থেকেই আমরা আরও অন্যান্য দেশেও বিনিয়োগ করতে চাই।
তপন চৌধুরীউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অভিনেতা থেকে প্রযোজক শরীফ
দেড় যুগের বেশি সময় মঞ্চে অভিনয় করে বড় পর্দায় নাম লেখান শরীফ সিরাজ। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর বুঝতে পারেন, এফডিসি ঘরানার সিনেমা নিয়ে অনেকেরই নাক সিঁটকানো ভাব, কেউ কেউ ছোট করেও দেখেন, এমনকি এফডিসির সিনেমা নিয়ে নেতিবাচক কথাও শুনতে হয়েছে। কেউ কেউ সরাসরি এফডিসির সিনেমায় না জড়িয়ে নাটক থেকে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন।
এফডিসির কাজে অভিজ্ঞতা
এফডিসি ঘরানা বলে কাজটাকে কেন আলাদা করা হয়, দীর্ঘ সময় এটাই বুঝে উঠতে পারতেন না শরীফ। ‘পরে কাজ করে যতটুকু বুঝেছি, এফডিসি ঘরানার কাজগুলোর বেশির ভাগ কলাকুশলী এফডিসির থাকেন। আবার নাটক থেকে উঠে আসা নির্মাতাদের সঙ্গে বেশির ভাগ কাজ করেন নাট্যাঙ্গনের শিল্পী–কলাকুশলীরা। ওটিটিতে আবার দুই ঘরানার মিশ্রণ। সব ধরনের টিমের সঙ্গেই কাজ করেছি। সবাই ভালো। বিশেষ করে বলব, এফডিসির আলাদা একটা জায়গা রয়েছে। এখানে পেশাগত জায়গাটা যেমন আলাদা, তেমনি পেশাদারিটাও বেশি। কীভাবে শিল্পীদের সম্মান করতে হয়, তারা সেটা বেশি জানে। এফডিসি নিয়ে আমার মধ্যে নেতিবাচক কিছু নেই। সবার সঙ্গে কাজ করেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য,’ বলেন শরীফ।