ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন জয়া আহসান
Published: 22nd, May 2025 GMT
দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) নজরুল ইসলাম সরকার।
আরো পড়ুন:
‘মুখোশধারী’ শাকিবের দেড় মিনিটের ঝড়
‘সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যা, কেউ পাশে থাকে না’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জয়া আহসান বলেন, “ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স এর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে দারুণ লাগছে। ওয়ালটন দেশি ব্র্যান্ড। দেশের গর্ব। বিদেশেও সুনাম কুড়াচ্ছে ওয়ালটন।ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সসহ সব ধরনের পণ্যই আন্তর্জাতিকমানের। সার্ভিসও ভালো। দেশের প্রতিটি ঘরে ওয়ালটনের হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স শোভা পাচ্ছে। আমাকে এমন একটি দেশীয় স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।”
ওয়ালটন হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মোস্তফা কামাল বলেন, “অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রতিভা ও খ্যাতি সর্বজনবিদিত। জয়া আহসান তার অভিনয় দিয়ে অভিনয়প্রেমীদের মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। ওয়ালটনও দেশে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।”
তিনি বলেন, “জয়া আহসান ওয়ালটনের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আমাদের বিশ্বাস পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা ওয়ালটন ব্র্যান্ডকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবো।ওয়ালটনের সঙ্গে স্বনামধন্য এই অভিনেত্রীর সংযুক্তি এ কার্যক্রমকে ভিন্ন মাত্রা দেবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।”
ঢাকা/পলাশ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন আহস ন
এছাড়াও পড়ুন:
সূর্য ধ্বংসের সময় পৃথিবীর কী হবে
সূর্যের শেষটা কেমন হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক তত্ত্ব চালু আছে। সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্য প্রায় ৫০০ কোটি বছর পর ধ্বংস হতে শুরু করবে। হাইড্রোজেন কমতে থাকায় শেষ পর্যন্ত সূর্য একটি লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে প্রসারিত হবে। তখন সম্ভাব্যভাবে পৃথিবীসহ অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু গ্রহকে সূর্য গ্রাস করে ফেলবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানের সময় চরম তাপের পরিস্থিতি দেখা যাবে। এই পর্যায় কোটি কোটি বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের হাইড্রোজেন কমার সময় পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মহাসাগর ও অন্যান্য জলাশয় বাষ্পীভূত হয়ে শূন্য হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে আমাদের গ্রহ প্রাণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। বর্ধিত তাপের ফলে বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস মহাকাশে হারিয়ে যাবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার পর্যায়টি প্রায় ১০০ কোটি বছর স্থায়ী হবে। এরপর একক নীহারিকা তৈরি করবে সূর্য। একটি সাদা বামন বস্তু হিসেবে সূর্য অবস্থান করবে। এ ধরনের পরিবর্তনের সময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন হবে। বর্ধিত তাপ ও বিকিরণের কারণে বেশির ভাগ জীব বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার মানসার বলেন, সূর্যের মতো নক্ষত্র যখন মারা যায়, তখন তাদের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা লাল দৈত্যে পরিণত হয়। যদি তাদের গ্রহ থাকে, তবে সেগুলো গ্রাস করতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেটিএফ এসএলআরএন-২০২০ নামের একটি নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটি কেমন হতে পারে, তার একটি আভাস পেয়েছেন। নক্ষত্রটি তার একটি গ্রহকে গ্রাস করেছে।
প্রায় ৫০০ কোটি বছর পরে সূর্য লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে পৌঁছাবে। এর আগেই বুধ ও শুক্র গ্রহকে গ্রাস করে ফেলবে সূর্য। পৃথিবীরও একইভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যখন সূর্য একটি শ্বেত বামন নক্ষত্রে পরিণত হয়ে যাবে, তখন কেবল মঙ্গল আর গ্রহাণু বেল্টের পরে যা কিছু আছে, তা টিকে থাকবে।
সূত্র: এনডিটিভি, স্কাইঅ্যাটনাইটম্যাগাজিন