বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ঘোলাটে। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা নেই। কিন্তু প্রধান সেনাপতি (সেনাপ্রধান) নির্বাচনের একটা ডেডলাইন (সময়সীমা) দিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে অবশ্য এখন পর্যন্ত সরকার কিছু বলেনি।

আমি প্রথম থেকেই সরকারকে বলে আসছি যে সুশাসনের সঙ্গে রাজনীতি জড়িত। রাজনীতি বাদ দিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় না। রাজনীতিকে উপেক্ষা করে দেশ শাসন করা সম্ভব নয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার রাজনীতিকে উপেক্ষা করেই দেশ শাসন করতে চেয়েছে। এ কারণেই রাজনৈতিক বিতর্কগুলো সামনে চলে আসছে। এটা আসাটা খুব স্বাভাবিক।

আরও পড়ুনসরকারের নিরপেক্ষতার স্বার্থে বিতর্কিতদের অপসারণ করা উচিত ৩ ঘণ্টা আগে

তবে এটা নিষ্পত্তি করা যাবে। আমি মনে করি, সে জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের এখন বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়া দরকার। তিনি সরাসরি বলুন। যখন সেনাবাহিনী বলতে পারে, তিনি কেন বলতে পারবেন না? জাতীয় নির্বাচনের ডেডলাইন বা রোডম্যাপ দিতে কোনো অসুবিধা থাকা উচিত নয়। রোডম্যাপটা দেওয়া হলে বিএনপির দিক থেকে বিতর্ক কমে যাবে। একই কারণে এনসিপির (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সম্পর্কেও বিতর্ক কমে যাবে। বাকি অন্য বিতর্কগুলোও তখন এমনিতেই কমে যাওয়ার কথা।

বিএনপির পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের দুজন উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি এবং এনসিপির পক্ষ থেকে তিনজন উপদেষ্টাকে ‘বিএনপিপন্থী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পদত্যাগ দাবি—এই বিতর্কটা অনভিপ্রেত। এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। প্রত্যেকে যদি এভাবে কথা বলেন, তাহলে তো হবে না। তবে এ বিষয়টি মূলত রাজনৈতিক।

আরও পড়ুনআসিফ ও মাহফুজ আছেন সরকারের বৈধতা হিসেবে ১ ঘণ্টা আগে

বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনের বিষয়টি নিয়ে আদালত একটা রায় দিয়ে দিয়েছেন। নিশ্চয়ই প্রশাসন বা সবাই এটা মেনে চলবে। এই রায় কতখানি ঠিক, কতখানি বেঠিক, মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেওয়া হলো কি না—এই বিতর্কের আমি কোনো মানে দেখছি না। এখন যদি আর কোনো রকম সমস্যা তৈরি না হয়, আপিল না হয়, বিষয়টি এখানেই নিষ্পত্তি হয়ে গেলে ভালো।

সবার বোঝা উচিত যে এটা শুধু বিএনপির একজন নেতাকে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর জন্য আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি দেশবাসী, সরকার, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন পক্ষকে বোঝাতে চেয়েছে যে বিএনপি এখনো বড় রাজনৈতিক দল, তাদের উপেক্ষা করা যাবে না। এটাই তারা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান মান্না

সভাপতি, নাগরিক ঐক্য

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ব এনপ র উপদ ষ ট সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি ক্ষমতা বাতিলে ট্রাম্প প্রশাসনের আদেশে আদালতের স্থগিতাদেশ

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। শুক্রবার বোস্টনের আদালত এ সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছে।

আইন মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। একই নির্দেশনায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরও বন্ধ করা হয়েছে। হার্ভার্ডের ওপর ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সবশেষ গত সোমবার ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও জাতিগত হয়রানির অভিযোগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ৬ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস)।

বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড মামলায় বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা মার্কিন সংবিধান এবং অন্যান্য ফেডারেল আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন।’ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত হাজারেরও বেশি ভিসাধারীর উপর ‘তাৎক্ষণিক এবং বিধ্বংসী প্রভাব’ ফেলেছে।

হার্ভার্ড মামলায় যুক্তি দিয়ে বলেছে, “কলমের আঘাতে সরকার হার্ভার্ডের ছাত্র সংগঠনের এক চতুর্থাংশ আন্তর্জাতিক ছাত্র যারা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর মিশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে তাদের মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে।”

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিযুক্ত মার্কিন জেলা বিচারক অ্যালিসন বুরোস মামলার পরিপ্রেক্ষেতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিটি স্থগিত করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছেন।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ