ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশীপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে দায়িত্বশীলদের মানন্নোয়নের লক্ষে শুক্রবার (২৩ মে) সকাল ৯টায় দেওয়ানবাড়ী মসজিদে দাযয়িত্বশীল তারবিয়াত ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

তারবিয়াতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার সভাপতি মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। সমাজ ও রাষ্ট্রকে ইসলামী বিধান অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে মানবতার কাঙ্খিত মুক্তি আসবে। এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে যে দলই ক্ষমতা এসেছে প্রত্যেকে দুর্নীতি, দখলদারি ও অনৈতিক কার্যক্রমে দেশকে কুলষিত করেছে। এদেশের মানুষ এখন আর দুর্নীতিবাজ আর জালিমের শাসন চায় না। এদেশের জনগণ চায় ইসলামী শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে।

তিনি আরও বলেন, আগামী সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সকল কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় এদেশের মানুষ আবারও জালিমের অত্যাচারে নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

সভাপতি আলহাজ শাহাদাত হোসেন রানা বক্তব্যে বলেন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সকল দায়িত্বশীলকে দীপ্ত শপথ নিতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন একদল যোগ্য ও দক্ষ কর্মীবাহিনী। ইসলামী আন্দোলনের প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

উক্ত তারবিয়াতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশীপুর ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি- মুফতী ইমদাদুল হক, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুক্তার হোসেন, সেক্রেটারি- এম.

শফিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি- মুহা. মামুন ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক- মুহা. আব্দুল জলিল, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক- মুহা. রবিউল আলম, দফতর সম্পাদক- মুহা. সিরাজুল ইসলাম, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক- মুহা. আক্তার হোসেন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক- মাওলানা আহমাদ কবীর, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক- মুহা. মাসুম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বি. সম্পাদক- মুহা. আব্দুল আজিজ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক- মুহা. পারভেজ প্রধান, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক- মুহা. বজলু সিকদার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- মুহা. আল-আমিন, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক- আলহাজ্ব মুহা. হুমায়ুন কবীর, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক- মুহা. জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক-মুহা. রাজিবুল ইসলাম, সদস্য- মুহা. আবুল হোসেন, সদস্য- মুহা. নূর হোসেন, সদস্য- আলহাজ্ব মুহা. গিয়াস উদ্দিন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম আলহ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা বহাল

বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং দেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে- পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, পানির নিচে ৩০ গ্রাম

মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ফেনীতে, মুহুরী নদীর ৭ স্থানে বাঁধে ভাঙন

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সব মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। 

এছাড়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় এসব অঞ্চলের নদী বন্দর সমূহকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে পটুয়াখালীতে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২০০.২ মিলমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। 

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকায় দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”

ঢাক/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ