বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং দেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে- পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, পানির নিচে ৩০ গ্রাম
মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি ফেনীতে, মুহুরী নদীর ৭ স্থানে বাঁধে ভাঙন
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সব মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় এসব অঞ্চলের নদী বন্দর সমূহকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে পটুয়াখালীতে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২০০.
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকায় দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”
ঢাক/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপক ল উপক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
টানা বৃষ্টির কারণে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির নদ-নদী ও ছড়ার পানি দ্রুত বাড়ছে। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিছু নিচু এলাকায় প্রবেশ করেছে। বর্তমানে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে চেঙ্গী নদীর পানি।
এদিকে, দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকার দীঘিনালা-লংগদু সড়কে মাইনী নদীর পানি উঠেছে। তবে, এখনো এই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারী বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জেলা সদরের শালবন, সবুজবাগ, কলাবাগান, কুমিল্লাটিলাসহ কয়েকটি চিহিৃত এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে বৃষ্টি অব্যাহত, দুর্ভোগ
সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা
বুধবার (৯ জুলাই) শালবন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরিদর্শনকালে পাহাড় ও এর পদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে আহ্বান জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ