কিছু গাছ রোপন করলেই নারায়ণগঞ্জ গ্রীন হয়ে যায় না : মাও. ফেরদাউস
Published: 23rd, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সহ সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ রক্তে অর্জিত মানুষের যে স্বাধীনতার যুদ্ধে রক্ত স্বাধীনতা অর্জন করেছে ।
সেই স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করার জন্য কোন পায়তারা যদি যে কোন মহল থেকে করে। সর্ব প্রথম এই মাতৃভূমি রক্ষা করার জন্য হেফাজতে ইসলাম কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য থাকবে।
শুক্রবার (২৩ মে) বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসাবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, কথা পরিষ্কার ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন আমাদের জানা নাই। কে আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন আমাদের জানা নাই জানার দরকারও নাই।
কিন্তু ভারতকে উপেক্ষা করে এবং আমেরিকাকে উপেক্ষা করে একমাত্র ইসলামি সংগঠনগুলো রাজপথ থেকে দেশের জন্য যে ভূমিকা পালন করছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলতে চাই আগামী দিনে দেশ রক্ষার জন্য যদি কোন যুদ্ধের ঘোষণা আসে রাজপথের সামনে কাতারে থেকে যুদ্ধ করবে। আমরা দেশ রক্ষার আন্দোলনে কারো সাথে সঙ্গে আপোষ করতে চাই না দেশের জন্য রক্ত দিতে চাই দেশের জন্য জীবন দিতে চাই।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে ও এসপি মহোদয় আপনারা টেবিলে এসির তলে বসে বসে গ্রীন এন্ড ক্লিন বাস্তবায়নের জন্য যে স্বপ্ন বসে বসে দেখেন কিছু গাছ রোপন করলেই নারায়ণগঞ্জ গ্রীন হয়ে যায় না।
কাদের গাছ দিচ্ছেন প্রতিবছরই গাছ আসে প্রতি বছরই নারায়ণগঞ্জের জন্য বাজেট আসে। কাদের ছবি তোলার দায়িত্ব দিচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জে কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না সড়কে ময়লা পরিষ্কার হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জের মানুষের সেবার যে ভূমিকা পালন করছেন নারায়ণগঞ্জের জনতা মনে করে এটা ভাওতাবাজি।
নারায়ণগঞ্জের ডিসি ও এসপিকে বলছি আমার সাথে পরামর্শ করুন মসজিদের ইমামদের সাথে পরামর্শ করুন সাথে পরামর্শ করলে সঠিক ভাবে নারায়ণগঞ্জে গ্রীন এন্ড ক্লিন হবে অন্যথায় আপনারা শুধু স্লোগান দিতে পারবেন বাস্তবায়ন কখনো দেখ দেখাতে পারবেন না।
প্রশাসনে উদ্দেশ্যে বলতে চাই, অন্তবর্তী কালীন সরকারকে বলতে চাই আমাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করুন এবং নারী সংস্কার কমিশন দ্রুত বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি। আর না হয় দাবি কিভাবে আদায় করতে হয় হেফাজতে ইসলাম জানা আছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র র জন য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রিপ্লেক্স বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ ২০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক নজরুল ইসলাম
ঢাকার বারিধারা, গুলশান, বসুন্ধরা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের বিপুল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম নিজেই তাঁর বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমিসহ বিপুল সম্পদের তথ্য দেন। আজ সোমবার দুদক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দুদক গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বংশাল থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে গিয়ে তিনি জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন।
দুদক বলছে, বারিধারায় আট কাঠা জমির ওপর ‘পুতুল হাউস’ নামে একটি ট্রিপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে নজরুল ইসলামের, যা বিদেশিদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। গুলশান–১ নম্বর ভাসাবির পেছনে ৩ হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি এবং বারিধারা ডিওএইচএসে ২ হাজার ৮৪১ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশান–২ নম্বরে পাঁচ কাঠা জমির ওপর দোতলা একটি ভবন রয়েছে।
শুধু রাজধানী নয়, আশপাশের এলাকায়ও নজরুল ইসলামের মালিকানায় একাধিক সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক। তাদের ভাষ্য, নারায়ণগঞ্জের ভূলতা গাউছিয়ায় এম এ খালেক ও আজহার হোসেনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘প্রাইম শপ’ নামে ১৮ কোটি টাকার একটি কোম্পানির সম্পদে তাঁর অংশীদারত্ব আছে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কৃষিজমি রয়েছে। এভাবে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায় নজরুল ইসলামের দুই শ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইসলাম ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ, ফারইস্ট ইসলামী প্রোপার্টিজ, সিভিসি ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্সসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে তাঁর শেয়ারমূল্য ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
দুদক বলছে, নজরুল ইসলাম ও তাঁর পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ২০১৫ সালে তিনি ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে ওয়েলিংটনে একটি বাড়ি কেনেন। তার আগের বছর ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নামে রাজধানীর তোপখানা রোডে ২০৭ কোটি টাকায় জমি ক্রয়ের সময় ২৮ কোটি টাকা ভাগাভাগি হয়, যার মধ্যে নজরুল ইসলাম পান ৬ কোটি টাকা। তিনি জমি বিক্রেতা আজহার হোসেন খানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তাঁর কাছ থেকে নিজের হিসাবে ১০ কোটি টাকা ও স্ত্রীর হিসাবে ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। এই অর্থ বিদেশে পাচার করে নজরুল ইসলাম মানি লন্ডারিং করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা।
লাখ লাখ টাকা খরচ করে নজরুল ইসলাম ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ঢাকা বোট ক্লাবসহ অন্তত ১৪টি অভিজাত ক্লাবের সদস্য।
আরও পড়ুনফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার২৩ অক্টোবর ২০২৫