রাজধানীর আফতাবনগরের বাসায় ‘গ্যাসের আগুনে’ দগ্ধ শিশু মিথিলা (৮) মারা গেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের চারজনেরই মৃত্যু হলো।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শরীরের ৬০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই মিথিলা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল। তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। পরিবারটির আরেক সদস্য তানিশা (১১) এখনও চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকেও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এর আগে ওই ঘটনায় দগ্ধ মিথিলার বাবা তোফাজ্জল হোসেন, মা মানসুরা ও ছোট বোন তানজিলা মারা যায়।

গত ১৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সী এক শিশুছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে ওই শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে।

আসামি শামীম উল বাশারের (৪০) বাড়ি ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে। তিনি উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক।

পুলিশ, এজাহার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে ওই ছাত্রীকে বই ও চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন শামীম উল বাশার। পরে তাঁর বসতবাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তাঁর মাকে বিষয়টি জানায়। পরে অন্যদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে ওই রাতেই মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ