বাড়ির সাবেক দারোয়ান জুলাই অভ্যুত্থানের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, অভিযোগ ব্যবসায়ীর
Published: 24th, May 2025 GMT
নিজের বাড়ির সাবেক দারোয়ান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ী এম এম এ কাদের। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসিন্দা ও এ কে ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী এম এম এ কাদের।
তিনি নথিপত্র দেখিয়ে বলেন, আমার বাড়ির সাবেক দারোয়ান হোসেন মিজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় আমাদের মিথ্যা দোষী সাজিয়ে ১৪টি মামলা করেছেন। এসব মামলায় আমার সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে, অথচ আমার ছেলে মোস্তফা নবী ফাইয়াজ যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে এবং দেশে থাকতেও ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছে তার ছাত্রলীগ করার প্রশ্নই আসে না।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী এম এম এ কাদের বলেন, একের পর এক ষড়যন্ত্র করে উপায়ান্তর না পেয়ে আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা এবং আমার ছোট ছেলে মোস্তফা নবি ফাইয়াজকে ছাত্রলীগের নেতা সাজিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সঙ্গে হত্যা মামলার আসামিদের তালিকায় নাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলা থানা পুলিশ কোর্টে ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে ওই মামলা সাজানো এবং মিথ্যা। আর বাকি ৫টি মামলার বাদীর সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আমি এবং আমার ছেলেরা কেউই জীবনে কোনও দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। হোসেন মিজান আমাকে নানাভাবে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। তার হুমকিতে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এম এম এ কাদের বলেন, ১৯৯৮ সালে হোসেন মিজানকে আমি আমার বড় ভাইয়ের অনুরোধে সেগুনবাগিচায় আমার বাড়িতে দারোয়ানের চাকরি দেই। পরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছে। পরবর্তীতে সে নিজেই ঠিকাদারি সনদ জোগাড় করে এবং নিজে ব্যবসা শুরু করে। ঠিকাদারি কাজের জন্য হোসেন মিজানের মূলধন না থাকায় স্ট্যাম্প চুক্তিপত্র করে ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেয়ার শর্তে আমার কাছ থেকে কয়েক ধাপে ২০০৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে টাকা নেয় এবং হিসাব করে করে আমাকে বিভিন্ন তারিখের তার স্বাক্ষর করা চেক দেয়। চেকগুলো ডিজঅনার হলে আমি প্রথমে উকিল নোটিশ এবং পরে মামলা দায়ের করি। এরপর হোসেন মিজান একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া শুরু করে।
তিনি বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন ইউনিয়নে হোসেন মিজানের এক পালিত সন্ত্রাসী পাভেল হাওলাদারকে কনট্রাক্ট দেয় আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে শেষ করে দিতে। বিনিময়ে পাভেল পাবে হাকিমুদ্দিনে একটি দোতলা বাড়ি, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি ফ্ল্যাট। বিএনপি নেতা পরিচয় দেয়া সন্ত্রাসী পাভেলের গ্রামের বাড়ি হাকিমুদ্দিন ইউনিয়নে হলেও সে ঢাকায় বসবাস করে। বিভিন্ন সময় আমি কোর্টে সাক্ষি দিতে গেলে এই পাভেল দলবল নিয়ে কোর্টে গিয়ে আমাকে এবং মামলার অন্যান্য সাক্ষীদেরকে সাক্ষী দিতে বাধা দেয় এবং আমাদের হত্যার হুমকি দেয়। পাভেল আগে নিজেকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখাত, গত বছরের ৫ আগস্টের পর বর্তমানে সে নিজেকে বিএনপি নেতা বলে পরিচয় দেয়। আমার শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে মাননীয় আইন উপদেষ্ঠা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।যেনো আমি যথাযথ আইনি সহায়তা পাই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হয়র ন এম এম এ ক দ র ব যবস য় র পর ব আম র ব
এছাড়াও পড়ুন:
আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫