আপন চাচাতো ভাইয়ের সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লার আলোচিত-সমালোচিত আক্তার-সুমনের বিরুদ্ধে। সম্পদ ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে এমন অভিযোগ করেছেন আলাউদ্দিন হাজীর ছোট ভাই আউয়াল হাজির ছেলে আলামিনের পরিবার। শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে তারা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।


সংবাদ সম্মেলনে আলামিন জানায়, আমার তিন চাচাতো ভাই। দাদার সম্পদ সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও আমাকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমার বাবার এতো সম্পদ থাকার পরও আমি মানবেতন জীবন যাপন করছি। 

সংবাদ সম্মেলনে আলামিনের মেয়ে নুসরাত জাহান তিন্নি অভিযোগ করেন, আমার দাদার সম্পত্তি থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আক্তার, সুমনরা নিজেকে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে আমাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দমিয়ে রাখতেন। তাঁদের কাছে আমরা জিম্মী হয়েছিলাম। তারা এতো সম্পদের মালিক, দেশে-বিদেশে অনেক সম্পদ,  দামি গাড়ি হাকিয়ে চলেন অথচ আমরা ঠিক মতো খাবার পাচ্ছি না। তাঁরা আমাদের সম্পদ দখলে নিয়ে ভোগ করছে। 

তিন্নির অভিযোগ, আমার বাবা আলামিনকে শারীরিক ও মানষিক র্টচার করে মানষিক রোগী বানিয়ে ফেলছে। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, আমরা সম্পত্তির ন্যায্য ভাগ চাচ্ছি।

উল্লেখ্য, ফতুল্লার আলোচিত গডফাদার আলাউদ্দিন হাজীর দুই পুত্র আক্তার, সুমন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে।আ

ওয়ামীলীগের গডফাদার শামীম ওসমানের সঙ্গে সখ্যতা রেখে এলাকায় জমি দখল, সন্ত্রাসী বাহিনী লালনসহ নানা অপরাধে জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি  আক্তার, সুমনের নিদের্শে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হোসাইকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় যে ক’জন আসামী গ্রেফতার হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দিয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সূর্য ধ্বংসের সময় পৃথিবীর কী হবে

সূর্যের শেষটা কেমন হবে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক তত্ত্ব চালু আছে। সৌরজগতে উষ্ণতা থেকে শুরু করে ভর আর সব গ্রহের কক্ষপথের স্থিতিশীলতা দিচ্ছে সূর্য। আমাদের পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনীয় অবস্থা তৈরির জন্য সূর্যের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্য প্রায় ৫০০ কোটি বছর পর ধ্বংস হতে শুরু করবে। হাইড্রোজেন কমতে থাকায় শেষ পর্যন্ত সূর্য একটি লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে প্রসারিত হবে। তখন সম্ভাব্যভাবে পৃথিবীসহ অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু গ্রহকে সূর্য গ্রাস করে ফেলবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানের সময় চরম তাপের পরিস্থিতি দেখা যাবে। এই পর্যায় কোটি কোটি বছর পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, সূর্যের হাইড্রোজেন কমার সময় পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। মহাসাগর ও অন্যান্য জলাশয় বাষ্পীভূত হয়ে শূন্য হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে আমাদের গ্রহ প্রাণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। বর্ধিত তাপের ফলে বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস মহাকাশে হারিয়ে যাবে। সূর্যের লোহিত দৈত্যাকার পর্যায়টি প্রায় ১০০ কোটি বছর স্থায়ী হবে। এরপর একক নীহারিকা তৈরি করবে সূর্য। একটি সাদা বামন বস্তু হিসেবে সূর্য অবস্থান করবে। এ ধরনের পরিবর্তনের সময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন হবে। বর্ধিত তাপ ও বিকিরণের কারণে বেশির ভাগ জীব বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার মানসার বলেন, সূর্যের মতো নক্ষত্র যখন মারা যায়, তখন তাদের কেন্দ্রস্থলে হাইড্রোজেন জ্বলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা লাল দৈত্যে পরিণত হয়। যদি তাদের গ্রহ থাকে, তবে সেগুলো গ্রাস করতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জেটিএফ এসএলআরএন-২০২০ নামের একটি নক্ষত্রকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটি কেমন হতে পারে, তার একটি আভাস পেয়েছেন। নক্ষত্রটি তার একটি গ্রহকে গ্রাস করেছে।

প্রায় ৫০০ কোটি বছর পরে সূর্য লোহিত দৈত্যাকার অবস্থানে পৌঁছাবে। এর আগেই বুধ ও শুক্র গ্রহকে গ্রাস করে ফেলবে সূর্য। পৃথিবীরও একইভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যখন সূর্য একটি শ্বেত বামন নক্ষত্রে পরিণত হয়ে যাবে, তখন কেবল মঙ্গল আর গ্রহাণু বেল্টের পরে যা কিছু আছে, তা টিকে থাকবে।

সূত্র: এনডিটিভি, স্কাইঅ্যাটনাইটম্যাগাজিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ