মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের এটা ছিল ২৬তম আয়োজন। প্রতিবারই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত সবার মুখে মুখে ফেরে একটা প্রশ্ন, কে বা কারা হবেন এবারের উপস্থাপক?
২০২৪ ছিল মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের রজতজয়ন্তীর বছর। মহা উৎসবটির কান্ডারি হয়েছিলেন দেশের সেরা উপস্থাপক হানিফ সংকেত। তিনি পঞ্চমবারের মতো এই অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন এবং সফলভাবেই শেষ করেন। তারপর! তার পর থেকেই শুরু হয় নতুন চিন্তা। আগামী বছর কে বা কারা হতে পারেন এই বিশাল মহাযজ্ঞের কান্ডারি?

বেশ কয়েকটি নামই মাথায় আসে। কিন্তু যোগ–বিয়োগ–গুণ–ভাগ করে কূলকিনারা করতে পারি না। তবু সাহস করে প্রথম ফোনটা তাসনিয়া ফারিণকেই করি। বলি, আগামী বছর (তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে) মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে আপনাকে ভাবছি। করবেন?
‘কী বলেন বকুল ভাই! আমি তো কখনো উপস্থাপনা করিনি। আমাকে দিয়ে এটা হবে না’—ফারিণের উত্তর।
আমিও নাছোড়বান্দা, ‘করেননি, এবার করবেন।’
কথা চলতে থাকল। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হল। শেষে ভেবে দেখার জন্য কিছুটা সময় চাইলেন ফারিণ।
তাঁকে ভাবনার সময় দিলাম।

এরপর ফোন করলাম আফরান নিশোকে। নিশোকে নিয়ে তিন বছর ধরেই পরিকল্পনা করছি। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে যান নিশো। মানে উপস্থাপনার প্রস্তাবটি প্রতিবারই এড়িয়ে যান। বলেন, ‘ভাই, এটা আমাকে দিয়ে হবে না। আমাকে মাফ করেন।’
বললাম, হবে। হবে। আপনাকে দিয়েই হবে। এইবার শেষবারের মতো একবার শেষ চেষ্টা করেন। আপনি পারবেন।
নিশো পিছলান, আমি আবার ছাই দিয়ে ধরি।
শেষ পর্যন্ত দুজনকেই রাজি করালাম।

আরও পড়ুনকেমন ছিল মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের প্রথম আসর২৩ মে ২০২৪

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দুজনই উধাও। কাউকেই পাই না। ‘দাগী’ ছবির প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত নিশো। আর ফারিণ গেছেন লন্ডনে, স্বামীর কাছে।

নিশো ও ফারিণ। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ল প রথম আল প রস ক র উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরামের

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরাম। 

শুক্রবার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম, সহসভাপতি ড. খন্দকার রাশেদুল হক এবং মহাসচিব ড. মো. শরিফুল আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের সফল ‘জুলাই বিপ্লব’ সংঘটিত হওয়ার পর থেকে দেশের বিবদমান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্য সংহত না হয়ে বরং নানা কারণে দুর্বল হয়েছে, যার ফলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ ঝুঁকির মুখে। আরব বসন্তের অভিজ্ঞতা আমাদের দেখিয়েছে, বিপ্লবোত্তর সময়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে গণতন্ত্রের পরিবর্তে অগণতান্ত্রিক বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের সব রাজনৈতিক শক্তি এবং সাধারণ জনগণের প্রতি ১০টি আহ্বান জানান। সেগুলো হলো-

১. জুলাই বিপ্লবের মৌলিক লক্ষ্য—ইনসাফ, ন্যায্যতা ও সুশাসন—নিশ্চিত করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

২. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোনো আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের প্রতিরোধে ছাত্র-জনতাকে সুসংগঠিত ও দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনের সদস্যদের জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

৩. দ্রুততম সময়ে জনতার ঐক্য সুসংহত করার ভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ ২০২৪’ ঘোষণা করতে হবে। এ লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলকে কার্যকর ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।

৪. বেসামরিক প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীর সব সদস্যকে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আধিপত্যবাদী বা স্বার্থান্বেষী মহলের উসকানিতে কোনোভাবেই প্রভাবিত হওয়া যাবে না। প্রশাসনিক রীতি ও শৃঙ্খলাকে সম্মানের সঙ্গে মেনে চলতে হবে।

৫. আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী এবং বেসামরিক প্রশাসনকে আরও দৃঢ়, নিরপেক্ষ ও পেশাদার ভূমিকা পালন করতে হবে।

৬. প্রশাসনে বিগত দুঃশাসন-সমর্থিত, পদলেহী ও হঠকারিতায় লিপ্ত কর্মকর্তাদের দ্রুত শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে এবং দেশপ্রেমিক ও সৎ কর্মকর্তাদের উচ্চ পদে নিয়োগ দিতে হবে।

৭. অন্তর্বর্তী সরকারকে মৌলিক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে একটি সর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহে অন্তত ন্যূনতম সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।

৮. আগামীদিনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সংস্কারমুখী করতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে হবে।

৯. অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করে এমন কার্যক্রম থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে।

১০. আধিপত্যবাদী শক্তিগুলো কখনোই একটি গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চায় না। তাই জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বজায় রেখে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের সংগ্রামে প্রস্তুত থাকতে হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেরিল –প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪
  • ২৭ বছর বয়সে শতকোটিপতি হলেন যে ইউটিউবার
  • পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করতে পারবে বিবিএস
  • সালাহর হাতে আরেকটি স্বীকৃতি, আসছে আরও
  • দিনাজপুরে ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
  • শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ফনিক্স ফাইন্যান্স
  • জাতীয় ঐক্যের আহ্বান অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসার্স ফোরামের
  • ইসরায়েলের সঙ্গে কোন কোন দেশের বাণিজ্য বেশি, কী কেনাবেচা হয়
  • ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ তহবিল গঠনের আহ্বান