ধন্যবাদ আফরান নিশো, ধন্যবাদ তাসনিয়া ফারিণ
Published: 25th, May 2025 GMT
মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের এটা ছিল ২৬তম আয়োজন। প্রতিবারই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত সবার মুখে মুখে ফেরে একটা প্রশ্ন, কে বা কারা হবেন এবারের উপস্থাপক?
২০২৪ ছিল মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের রজতজয়ন্তীর বছর। মহা উৎসবটির কান্ডারি হয়েছিলেন দেশের সেরা উপস্থাপক হানিফ সংকেত। তিনি পঞ্চমবারের মতো এই অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন এবং সফলভাবেই শেষ করেন। তারপর! তার পর থেকেই শুরু হয় নতুন চিন্তা। আগামী বছর কে বা কারা হতে পারেন এই বিশাল মহাযজ্ঞের কান্ডারি?
বেশ কয়েকটি নামই মাথায় আসে। কিন্তু যোগ–বিয়োগ–গুণ–ভাগ করে কূলকিনারা করতে পারি না। তবু সাহস করে প্রথম ফোনটা তাসনিয়া ফারিণকেই করি। বলি, আগামী বছর (তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে) মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে আপনাকে ভাবছি। করবেন?
‘কী বলেন বকুল ভাই! আমি তো কখনো উপস্থাপনা করিনি। আমাকে দিয়ে এটা হবে না’—ফারিণের উত্তর।
আমিও নাছোড়বান্দা, ‘করেননি, এবার করবেন।’
কথা চলতে থাকল। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হল। শেষে ভেবে দেখার জন্য কিছুটা সময় চাইলেন ফারিণ।
তাঁকে ভাবনার সময় দিলাম।
এরপর ফোন করলাম আফরান নিশোকে। নিশোকে নিয়ে তিন বছর ধরেই পরিকল্পনা করছি। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে যান নিশো। মানে উপস্থাপনার প্রস্তাবটি প্রতিবারই এড়িয়ে যান। বলেন, ‘ভাই, এটা আমাকে দিয়ে হবে না। আমাকে মাফ করেন।’
বললাম, হবে। হবে। আপনাকে দিয়েই হবে। এইবার শেষবারের মতো একবার শেষ চেষ্টা করেন। আপনি পারবেন।
নিশো পিছলান, আমি আবার ছাই দিয়ে ধরি।
শেষ পর্যন্ত দুজনকেই রাজি করালাম।
কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দুজনই উধাও। কাউকেই পাই না। ‘দাগী’ ছবির প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত নিশো। আর ফারিণ গেছেন লন্ডনে, স্বামীর কাছে।
নিশো ও ফারিণ। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র ল প রথম আল প রস ক র উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ