চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপানের টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট আগে তিনি সেখানে পৌঁছান। 

বিস্তারিত আসছে...  
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

হজযাত্রীদের যেসব স্বাস্থ্যসতর্কতা মেনে চলা উচিত

হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করা পরিশ্রমসাধ্য। পাশাপাশি ভৌগোলিক, জলবায়ু ও আবহাওয়াগত পরিবর্তন শুরুতে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিপুল জনসমাগমে চাপ সামলে চলাও অনেক কঠিন। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হজযাত্রীদের বেশ অসুবিধায় পড়তে দেখা যায়। সব মিলিয়ে অনেকে নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েন।   
বিমান ভ্রমণে অনভ্যস্ততার কারণে হজযাত্রীরা বমি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের সমস্যায় ভুগে থাকেন। জেদ্দা বিমানবন্দরে নামার পরপরই আবহাওয়ার বড় পরিবর্তনের মুখোমুখি হন তারা। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় আর্দ্রতা একটু বেশি। সৌদি আরবের তাপমাত্রা সাধারণত ৪০-৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্প বা আর্দ্রতা কম থাকে।
অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়া, বমি ও মাত্রাতিরিক্ত ঘামে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সরাসরি সূর্যের আলো গায়ে লাগায় এর ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মুখমণ্ডল, বাহু ও বুকের চামড়ায় সানবার্ন হতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের জন্য পাকস্থলী ও অন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। বয়স্ক হজযাত্রীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন বেশি। প্রয়োজনীয় পরিমাণে ফল ও শাকসবজি না খেয়ে কেবল প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ করায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অতি সাধারণ সমস্যা হিসেবে দেখা যায়।

হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এ সময় জ্বর ও সাধারণ ব্যথা প্রায় সবাইকে কাবু করে ফেলে। এর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সঙ্গে রাখা ভালো। পাতলা পায়খানা ও আমাশয় হলে যাতে সহজে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ওরাল রিহাইড্রেশন স্যালাইন বা খাওয়ার স্যালাইন সঙ্গে রাখা উচিত।
হজের দিনগুলোতে সবচেয়ে কঠিন কাজগুলো করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক কিছু বিষয় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। সরাসরি সূর্যের আলো গায়ে না লাগানো, একটানা দীর্ঘক্ষণ না হেঁটে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হাঁটা, অত্যধিক জনবহুল পরিবেশ এড়িয়ে চলা, প্রয়োজন অনুপাতে বিশ্রাম ও ঘুমানো। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। চশমা বা কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে সতর্কতামূলক অতিরিক্ত আরও একটি সঙ্গে নেওয়া ভালো।

অসুস্থ ও দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য ইলেকট্রিক কার ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা
মক্কার মসজিদুল হারামে হজ ও ওমরাহর তাওয়াফ ও সাঈ করা অসুস্থ, বয়স্ক বা শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য কঠিন হতে পারে। তাদের কষ্ট লাঘব করতে মসজিদুল হারামে ইলেকট্রিক কার ও হুইলচেয়ারের বিশেষ সেবা চালু আছে। 
তাওয়াফ করার জন্য ভাড়া ৭০-১৫০ সৌদি রিয়াল। সাঈ করার জন্য ভাড়া ১০০-২০০ সৌদি রিয়াল। তবে এ ভাড়া পরিবর্তনশীল। মসজিদুল হারামের বিভিন্ন গেট– ফাহাদ গেট, কিং আবদুল আজিজ গেট ইত্যাদি ছাড়াও কর্মচারীদের কাছ থেকে এই সেবা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ