দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি কর্পোরেট সেলস টিমের জন্য একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে। ‘ক্রেডিট রিকভারি ফর সিএসডি সেলস টিম’ শিরোনামে এ বিশেষ প্রশিক্ষণটি মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশন পরিচালনা করেন ওয়ালটনের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ট্রেইনিং ম্যানেজার মো.

রওশন আলী বুলবুল। পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ক্রেডিট রিকভারি ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি হেড টি এম আবদুল্লাহ-আল-ফুয়াদ। তিনি রিকভারি কৌশল, ক্লায়েন্ট এনালাইসিস এবং কর্পোরেট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার জন্য সুপরিচিত।

টি এম আবদুল্লাহ-আল-ফুয়াদ বলেছেন, “বিক্রির প্রকৃত মূল্য তখনই নিশ্চিত হয়, যখন তা সফলভাবে আদায় হয়। কারণ, রিকভারি ছাড়া কোনো বিক্রিই বাস্তবে বিক্রি নয়, তা কেবল একতরফা অনুদানের নামান্তর।”

এ প্রশিক্ষণ কেবল একটি কর্পোরেট প্রয়াস নয়, এটি বর্তমান শিল্প খাতে ক্রমবর্ধমান ক্রেডিট ঝুঁকি, ক্যাশ ফ্লো সংকট ও ক্লায়েন্ট সম্পর্কের টানাপোড়েন সামলানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ, একটি ভুল ক্রেডিট সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে তিনটি স্তরে:

১. শিল্প খাত: নগদ অর্থপ্রবাহে সংকট, মাঠপর্যায়ে বিক্রয় প্রতিনিধিদের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস এবং আইনি জটিলতা।
২. বিক্রয় প্রতিনিধি: লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থতা, মানসিক চাপ এবং কর্মস্থলে সুনামের ক্ষয়।
৩. ক্লায়েন্ট: ব্যবসার অবনতি, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট হারানোর ঝুঁকি এবং পারস্পরিক সম্পর্কে উত্তেজনা।

ওয়ালটন কর্পোরেট সেলস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের সদস্যরা প্রশিক্ষণে অংশ নেন, যারা বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি, বহুজাতিক কোম্পানি এবং বিভিন্ন কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করেন। প্রশিক্ষণে বাস্তব অভিজ্ঞতা, কেস স্টাডি এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ আলোচনার মাধ্যমে তারা শিখেছেন, কীভাবে গ্রাহককে প্রোফাইল করতে হয়, আগাম সংকেত চিনে নিতে হয় এবং কার্যকরভাবে রিকভারি নিশ্চিত করতে হয়।

সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং ক্রেডিট রিকভারি বিভাগের প্রধান এস এম জাহিদ হাসান। 

তিনি বলেন, “আমাদের কর্পোরেট সেলস টিম শুধু বিক্রি করে না, তারা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক নিরাপত্তার প্রথম সারির যোদ্ধা।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন, এনডিসি, পিএসসি। 

তিনি বলেন, “বিক্রয় ও রিকভারি—এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাই হল একটি সুস্থ ব্যবসার মূল ভিত্তি। এই প্রশিক্ষণ তারই একটি বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক উদাহরণ।”

এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ওয়ালটন প্রমাণ করেছে যে, প্রতিষ্ঠানটি শুধু প্রযুক্তি নয়, আর্থিক নৈতিকতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও মানবসম্পদ উন্নয়নেও দেশে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছে।

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর প র ট ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

এ প্লাস না পাওয়ার মিষ্টি

আগের পর্বআরও পড়ুনআবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে গিয়ে...৮ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ